সাড়ে ৩ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছিলেন তিনি
দেবিদ্বার প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.সোহরাব হোসেন ভূইয়া। গ্রেপ্তারকৃত মনিরুল ইসলাম উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বারুর গ্রামের মো. ইব্রাহীম মুন্সির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতিসহ প্রতারণার অভিযোগে কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করেন একাধিক ভুক্তভোগী।
শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয় তাকে।
প্রতারক মনিরুল ইসলামকে আটকের খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানায় ১০-১২ ভুক্তভোগী একত্র জড়ো হয়। থানার গেইট এলাকার ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম ও শামসুর রহমান জানান, মনিরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী লাকি আক্তার দেবিদ্বার থানার গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তিনি বিভিন্ন মানুষের আত্মীয় পরিচয়ের সুবাধে সবার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেন। সেনাবাহীনিতে চাকরির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জেলার সেনা দফতরে সরকারী রেশন সাপ্লাই করছেন বলে সবাইকে জানান।
এতে তাঁর দ্বীগুণ মুনাফা হচ্ছে এমন প্রলোভন দেখিয়ে থানার গেইট এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ও র্স্বণ অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপর ভুক্তভোগী মো. আমির হোসেন আমু বলেন, গুদাম থেকে রেশন কিনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন দফতরে তা সাপ্লাই করে দ্বীগুন মুনাফা দিবেন বলে তার স্ত্রী লাকি আক্তার আমার কাছ থেকে কয়েক দফায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একবছর ধরে সে পলাতক ছিলো, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করায় থানায় এসেছি, আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।
দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন ভূইয়া বলেন, মনিরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্য ছিলেন।
সে সেনাবাহিনীতে থাকাবস্থায় তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে সরকারি রেশন ব্যবসার মাধ্যমে অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে যখন টাকা পয়সা নিয়ে লোকজন আদালতে মামলা মুকাদ্দাম করতে শুরু করেন তখন তিনি দ্রুত সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়, সে একজন কৌশলী প্রতারক।
আদালত তাঁর বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারী পরওয়ানা ছিল। শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।