কুমিল্লায় নিখোঁজের দশদিন পর বস্তাবন্দি পিকআপ চালকের লাশ ধানক্ষেতে
মহানগর ডেস্ক।।
কুমিল্লায় নিখোঁজের দশদিন পর ধানক্ষেতের পাশেই ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সায়মন (২১) নামে পিকআপ ভ্যান চালকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের মনশাসন (পশ্চিম পাড়া) এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সায়মন একই ইউনিয়নের শরৎনগর (কাবিলা) কাজীবাড়ি এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে। সেই পেশায় পিকআপ ভ্যান চালক ছিলেন।
নিখোঁজ লাশটি শনাক্তকারী সায়মনের মামি লিপি আক্তার ও দাদি জানান, গত ১০ দিন আগে শুক্রবার বিকেলে মায়ের সাথে কথা বলে সৈয়দপুর এলাকায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়ে যায়। সেদিন রাত সারে ৯ টায় সায়মনের সাথে আবারও ফোনে কথা হয় তার মায়ের।
এসময় সে সৈয়দপুর এলাকায় আছে বাড়িতে আসতে দেরি হবে বলে জানায় তার মাকে। পরদিন শনিবার ভোর ৫টায় তার ব্যবহত মোবাইল নাম্বার থেকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে একজন সায়মনের মাকে কল দিয়ে বলেন, সায়মনকে খুঁজতে সৈয়দপুর এলাকায় যোগাযোগ করার জন্য।
এ বিষয়ে পুলিশকে যেন কিছু না জানায়। এরপর থেকেই সায়মনের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায় নিহতের মামি লিপি আক্তার।
এরপর দুদিন পেরিয়ে গেলেও সায়মনের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পরে স্বজনরা। পরে কালির বাজার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি মেম্বার গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সায়মনের খোঁজ না পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে পরিবার।
৮ নভেম্বর সোমবার আনুমানিক সকাল সারে ৮টায় মনশাসন পশ্চিমপাড়া এলাকার জনৈক ব্যক্তি ধানের ক্ষেতের পাশের একটি ছোট ডোবায় ঘাস ধোয়ার জন্য যান।
সেখানে দুর্গন্ধ পেয়ে ডোবায় থাকা একটি প্লাষ্টিকের বস্তা ওপরে তুললে মাথা, পা ও হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন লাশের একটি অংশ দেখতে পায়। পরে সে স্থান থেকে আরও প্রায় ৫০০গজ দুরে নির্জন এলাকার ধান ক্ষেতের পাশের আরেকটি ডোবায় লাইলনের দরিতে পেঁচানো কোমর থেকে নিচের দুপায়ের আরেকটি অংশ পাওয়া যায়। তবে লাশের মাথা ও দু হাতের কব্জির অংশের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, লাশ উদ্ধার করা ব্যক্তিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিক ধারণা। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশের দুটো টুকরো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।