২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গঙ্গার তীরের মরদেহগুলো খাচ্ছে চিল-শকুনে

অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশের ২৭ জেলায় গঙ্গার তীরে কবর দেওয়া হয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। গঙ্গার ১১৪০ কিলোমিটার যাত্রাপথে নদীর তীরে ২ হাজারের বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজারের বরাতে জানা যায়, গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। এমন ভিডিয়ো সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃতদের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কনৌজের মহাদেবী গঙ্গাঘাটে কর্মরত রাজনারায়ণ পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘বার বার মৃতদেহগুলি মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গার পানিরস্তর বাড়লে মাটি সরে যাচ্ছে। গঙ্গাঘাটের কাছে ৩৫০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। অনেক সময় মৃতদেহ নদীতে ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে।

কানপুরের শেরেশ্বর ঘাটের স্থানীয়রাই বলছেন, ৪০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে। মাটি সরে গিয়ে কিছু মৃতদেহ বেরিয়ে পড়ছে। তার উপর চিল, শকুন গিয়ে বসছে। এর থেকে সংক্রমণ ও দূষণ দুইই ছড়াতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

উন্নাওয়ের অবস্থা সব থেকে খারাপ। এখানকার দু’টি ঘাট (শুক্লাগঞ্জ ও বক্সার)-এর কাছে ৯০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কুকুর, শেয়ালে অনেক মৃতদেহ টেনে বের করে নিয়ে আসছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহের শেষকৃত্যের একটা বিশেষ পদ্ধতি থাকে। এ ভাবে কবর দিলে সেটা শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক তা নয়, সেখান থেকে সংক্রমণও দ্রুত ছড়াতে পারে। তা ছাড়া এই মৃতদেহ গঙ্গায় ভেসে গেলে পানিও দূষিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!