কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় ৫ আসামি রিমান্ডে
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা শহরতলীর দূর্গাপুর এলাকায় ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত এজাহার নামীয় ৫ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতয়ালি মডেল থানায় নেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ১৮ মে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে এরশাদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে, আদর্শ সদর উপজেলার ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের আমির আলী, তৌহিদ, আজাদ, রাশেদ মিয়া ও জাহিদ। সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহাম্মদ।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ জানায়, মিথ্যা মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে মনির হোসেনকে ১১ মে সন্ধ্যায় ও ১৩ মে সকালে মামলায় অভিযুক্তরা ঘোড়ামারা কৃষ্ণনগর গ্রামের আসামিদের বাড়িতে নিয়ে মারধর করে। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় জরুরী বিভাগের রেজিষ্টারে মনিরের নাম ও পরিচয় অজ্ঞাত হিসেবে লেখা হয়। রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
১৪ মে হাসপাতাল থেকে কোতয়ালি মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ ময়নাতদন্তের পর মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করে। ১৫ মে নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করা হয়।
ঘটনার ৪ দিন পর ১৬ মে স্বজনরা তার খোঁজে থানায় গিয়ে ছবি দেখে জানতে পারেন মনির নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম বাদী হয়ে এরশাদ ও তৌহিদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গত ১৭ মে গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি আমির আলী, এরশাদ, তৌহিদ, আজাদ, রাশেদ মিয়া ও জাহিদকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক আহাম্মদ জানান, গ্রেফতারকৃত ৬ জনের মধ্যে আসামি এরশাদ আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার অপর ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে কারাগার থেকে থানায় আনা হবে।