জোহরের নামাজের উপকারিতা- বিজ্ঞান কি বলে?
ধর্ম ডেস্ক
আমরা মুসলিম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করা আমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে। তাই আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করার চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, নামাজের উপকারিতা কি?
এর আগে ফজরের নামাজ নিয়ে বিস্তারিত লেখা হয়েছিল। আজকে জোহরের নামাজের উপকারিতা এবং বিজ্ঞান এ ব্যাপারে কি বলে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়ে লেখাটিতে।
আসুন জেনে নেই জোহরের নামাজের উপকারিতা এবং বিজ্ঞান কি বলে?
জোহরের নামাজের উপকারিতা
অন্যান্য নামাজের ন্যায় জোহরের নামাজেরও রয়েছে অনেক উপকারিতা যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। আসুন জেনে নেই উপকারিতাগুলো।
১. আমাদের দেশে অধিকাংশ অফিস শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে। ১০ টা থেকে এক টানা ৩-৪ ঘণ্টা কাজ করলে মানসিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে, সাথে মানসিক অস্থিরতাও কাজ করা শুরু করে দেয়। ঠিক তখনই একটা ফ্রেসনেস এর প্রয়োজন পড়ে।
সে ফ্রেশনেস এনে দিতে পারে জোহরের নামাজ। ওযু করা নামাজ পড়া, বিশেষ করে সিজদাতে মস্তিষ্ক চাঙ্গা হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন, যারা নিয়মিত জোহরের নামাজ আদায় করেন তারা মানসিকভাবে অনেক চাঙ্গা থাকেন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় হল নিয়মিত জোহরের নামাজ আদায় করা।
২. বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন, সূর্য যখন মাথার উপরে চলে আসে তখন এক ধরণের রশ্মি বিকিরন করে, এতে মানুষের মন মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়, মানুষের চাঞ্চল্যতা কমে যায়। ফলে মানসিকভাবে ভালো থাকে না। যদি সেই মুহূর্তে ওযু করা যায় তবে মানসিক চাঞ্চল্যতা ফিরে আসে, এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষ যখন ঘার মাসেহ করে তখন ঘার বা গর্দান ভেজা ভেজা হয়ে যায়, এটি সাস্থের জন্য খুবই উপকারী, এমনকি ঘার ভেজা থাকলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ থেকেও মুক্তি মেলে। আর জোহরের নামাজ আদায় করা যায় তবে তো আর কথাই নেই। সিজদা করার মাধ্যমে মস্তিস্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে কর্ম চাঞ্চল্যতা ফিরে আসে।
৩. উপরের দুটি পার্থিব উপকারিতা ছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। পরকালিন উপকারিতা তো আছেই। মহান আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলমান নর ও নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। আর এ নিয়ে বিজ্ঞানীরাও পেয়ে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য যা আগে মানুষ জানত না।