কোভিড: বাংলাদেশে লকডাউনে নতুন করে আরো যেসব শর্ত যুক্ত হলো
নিউজ ডেস্ক
নতুন নিয়ম কানুনের সাথে আগের জারি করা বিধি-নিষেধও কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন নির্দেশনা দিয়ে বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ২৮শে জুন সকাল ৬টা থেকে পহেলা জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত এসব বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে।
এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন শর্ত রেখে বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২৫ জুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকার সোমবার ২৮শে জুন থেকে আবারো সাতদিনের জন্য সব কিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল।
এর আগে, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ দিনের সম্পূর্ণ শাট ডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছিল।
নতুন যেসব বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সারা দেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবেন।
দ্বিতীয়ত, সব ধরণের মার্কেট, শপিং-মল, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
তৃতীয়ত, খাবারের দোকান, হোটেল রেস্তোরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত শুধু খাবার বিক্রি(অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
চতুর্থত, সরকারি-বেসরকারি অফিস বা প্রতিষ্ঠানে শুধু প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।
পঞ্চমত, জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরো প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নতুন এসব নিয়ম কানুনের সাথে আগের জারি করা বিধি-নিষেধও কার্যকর থাকবে।
এরআগে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার পর শনিবার ভোর থেকেই দলে দলে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করে।
ইতোমধ্যেই ত্রিশে জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাতটি জেলায় লকডাউন কার্যকর থাকায় দূরপাল্লার বাস ঢাকায় আসা যাওয়া না করতে পারলেও বন্ধ করা যায়নি ঢাকামুখী এবং ঢাকা থেকে বের হওয়া মানুষের ঢল।
তবে শুক্রবার রাতে সরকারের তরফ থেকে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের কথা বলার পর ঢাকামুখী মানুষের ভিড় কমে ঢাকা ছাড়া মানুষের ভিড় বেড়েছে।