কুমিল্লায় ভোগান্তির ১৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ
মহানগর ডেস্ক।।
সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে স্বস্তি প্রকাশ করেন গ্রাহকরা। এর আগে পাইপ লাইনে গ্যাস না থাকায় ভোগান্তির শিকার হন তারা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রোববার রাত ২টার দিকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গ্যাস সরবরাহ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের প্রায় ৫০শতাংশ বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ থাকে। অন্য বাসাগুলো সংযোগ থাকলেও তাতে গ্যাসের চাপ কমে প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগে নেমে যায়।
হঠাৎ করে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ থাকায় ও চাপ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন নগরের বাসিন্দারা। কেউ কেউ দোকানের খাবার খেয়ে সকালের নাস্তা পর্ব সাড়েন। ঘরে রান্না করা খাবার না থাকায় কাউকে আবার উপোস থাকতে হয় দুপুরেও।
নগরীর কাপ্তান বাজারের গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘সকাল ৯টায় রান্না করতে গিয়ে দেখি চুলোয় আগুনের নিভু নিভু অবস্থা। পরে দোকান থেকে পাউরুটি এনে নাস্তা করি আমরা।’
ঠাকুরপাড়ার গৃহবধূ লাভলী আক্তার জানান, তিনি সকালের নাস্তা ও দুপুর খাবার কোনোটিই তৈরি করতে পারেননি গ্যাস না থাকায়।
একই কথা বললেন নগরীর ঝাউতলা এলাকার গৃহবধূ রোকেয়া আজাদ। একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন তিনি। জানান, বাসায় গ্যাস না থাকায় আজ তাকে নাস্তা ও দুপুরের খাবার কিনে খেতে হয়েছে।
কুমিল্লা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিড থেকে চান্দিনার কুটুম্বপুর থেকে নন্দনপুর বিশ্বরোড হয়ে কুমিল্লা নগরে গ্যাসের সরবরাহ দেয়া হয়। রাতে কুটুম্বপুরে বিটিসিএল এর বাল্ব ডাউন হয়ে যাওয়ায় গ্যাস সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়।
এ কারণে নগরীতে গ্যাসের চাপ কমে যায়। তবে ফেনী ও লাকসামের বিজরা বাজারে আরেকটি সাপ্লাইয়ার লাইন থাকায় কুমিল্লার অন্য উপজেলাগুলোতে গ্যাস সরবরাহে কোনো সমস্যা হয়নি।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে বিটিসিএল ও একাধিক টিম কাজ সংস্কার কাজ করেছে। বর্তমানে গ্যাস সমস্যার সমাধান হয়েছে।’