২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“নখকুনির যন্ত্রনায় ভুগছেন”? জেনে নিন কিভাবে নিরাময় করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
পায়ের নখ ভেতরের দিকে বৃদ্ধি পাওয়াকে ওনাইকোক্রিপ্টোসিস বলে যা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। একে নখকুনিও বলা হয়। যখন পায়ের নখের কোনার অংশ বা প্রান্তের অংশ নরম মাংসের ভেতরের দিকে প্রবেশ করে তখন খুবই অস্বস্তি ও ব্যথার সৃষ্টি করে।

সাধারণত নখকুনি পায়ের আঙ্গুলেই হয়ে থাকে কিন্তু হাতের আঙ্গুলেও হতে পারে তবে তা খুবই বিরল। নখকুনি হওয়ার কারণ খুব বেশি টাইট-ফিটিং জুতা পরলে, নখ সঠিক ভাবে না কাটলে, নখে ব্যথা পেলে এবং অস্বাভাবিক বাঁকানো নখ থাকলে। ডায়াবেটিস ও অন্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে পায়ের রক্ত সংবহন কমে যায় ফলে পায়ের নখের এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন আপনার হার্নিয়া আছে নখে খুব বেশি ব্যথা হওয়া, লাল হওয়া এবং ফুলে যাওয়ার মত উপসর্গগুলো দেখা যায় নখকুনি হলে। যদি এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। ইনফেকশন হলে নখের চারপাশ লাল হয়ে ফুলে যায়, পুঁজ ও রক্ত বাহির হয়।

যদি শুরুতেই বুঝতে পারা যায় তাহলে ঘরেই এর যত্ন নেয়া যায়। যদি ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ। নখকুনির ঘরোয়া প্রতিকারগুলো জেনে নেই আসুন।

উষ্ণ জলে ভিজানো উষ্ণ জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখলে নখকুনির ব্যথা ও ফোলা কমে যায়। এজন্য একটি ছোট বোলে উষ্ণ গরম পানি নিন। এই পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন ১৫-২০ মিনিট। দিনে ৩-৪ বার এটি করতে পারেন।

নখের নীচে গজ দিয়ে রাখুন গরম জলে পা ডুবানোর পরে আক্রান্ত নখের নীচে তুলা বা গজ বা সুতির নরম কাপড় ঢুকিয়ে দিলে নখটি উপরের দিকে উঠে আসবে। উষ্ণ গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখার পরে ভালো করে পা মুছে নিন।

এই খাবার ও পানীয়গুলি খেলে কোনোদিন লিভার খারাপ হবে না তারপর ভোঁতা চিমটা দিয়ে আক্রান্ত নখটি সাবধানে উপরে উঠান এবং ত্বক ও নখের মাঝখানে সুতির কাপড়ের টুকরাটি ঢুকিয়ে দিন। ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য প্রতিবার পা ভেজানোর পরে কাপড়টি পরিবর্তন করে নিন।

ইপসম লবণ ইপসম লবণের বৈজ্ঞানিক নাম ম্যাগনেসিয়াম সালফেট যা নখের অন্তরবৃদ্ধির চিকিৎসায় কার্যকরী। এটি আক্রান্ত নখের ত্বককে নরম হতে সাহায্য করে। যার ফলে মাংসের ভেতরে ঢুকে যাওয়া নখকে বের করা সহজ হয় এবং প্রদাহ ও কমে।

এর জন্য উষ্ণ গরম পানিতে পূর্ণ একটি বোলে ১ টেবিলচামচ ইপসম লবণ মিশান। এই মিশ্রণে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। তারপর মিশ্রণটি থেকে পা উঠিয়ে ভালো করে পা মুছে নিন। সপ্তাহে ৩/৪ বার এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন।

এছাড়াও হাইড্রোজেন পারওক্সাইড, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান, লেবু, টি ট্রি ওয়েল, আপেল সাইডার ভিনেগার ও হলুদ ব্যবহার করা যায়। তবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়।

তাই নখ সোজা ভাবে কাটুন, পায়ের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, বাহির থেকে আসার পর পা ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন, আরামদায়ক ও পায়ের মাপ মত জুতা পরুন, প্রতিদিন গোসলের সময় ঝামা পাথর দিয়ে পা ঘষুন যাতে পায়ের ত্বক শক্ত হয়ে না যায় এবং প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পড়ুন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!