১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা, ‘বন্দুক’যুদ্ধে’ নিহতদের জানাজা ছাড়াই দাফন

মহানগর ডেস্ক।।
তারা দুজনই কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিল।

কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাব্বির হোসেন ও মো. সাজন কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর পুলিশি পাহারায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

কিন্তু জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে। নগরীর টিক্কারচর কবর স্থানে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কোনো মৌলভীও তাদের জানাজা পড়াতে আসেননি।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে সংরাইশ এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় মরদেহ নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে এই আশংকায় সিটি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়।

মাগরিব নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেও জানাজার নামাজ পড়াতে কোনো মাওলানা এগিয়ে আসেননি।

এ সময় বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের ঠেকাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে জানাজা ছাড়াই মাগরিব নামাজের কিছু আগে সাব্বির ও সাজনের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় ওই কবরস্থান এলাকায় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

এর আগে দুপুর থেকে এলাকার লোকজন নিহত দুই জনের এলাকায় দাফন না করতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনে বাধা দিতে পারে এই আশংকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়, অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কেউ না আসায় জানাজা ছাড়াই দাফন করতে হয়েছে।

নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহত ওই কাউন্সিলরের ভাই বাদী হয়ে করা মামলায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!