কুমিল্লায় মেম্বারের সম্মানী ভাতা আত্বসাতের দায়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
নিউজ ডেস্ক।।
টাকা আত্মসাতের দায়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২২নং টনকি ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চেয়ারম্যান টনকি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে ওই মামলা করেন একই পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য ও টনকি গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মজিবুর রহমান। আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১২/০৭/২০১৬ইং তারিখে বাংলাদেশ গেজেট মোতাবেক ইউপি সদস্যরা সরকার থেকে মাসে ৩ হাজার ৬শ’ ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ হাজার ৪শ’ টাকা প্রাপ্ত। সে মতে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগষ্ট পর্যন্ত ৩৩ মাসে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২শ’ টাকা পাওনা।
কিন্তুু ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন সরকার ২ বারে ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে বাকী ১ লক্ষ ২০ হাজার ২শ’ টাকা দেম দিচ্ছি বলে ঘুরাতে থাকে।
অবশেষে গত মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে পাওনা টাকা দাবি করলে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন সরকার টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকার করে প্রতারণামূলক ভাবে ১ লক্ষ ২০ হাজার ২শ’ টাকা আত্বসাত করেন।
মামলার বাদী ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন সরকার নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা না করে নিজের ইচ্ছা মতো প্রকল্প কমিটি তৈরী করে পরিষদের ট্যাক্সের টাকা আত্মসাত, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ভাতার কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন তৈরী এবং ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে আসছে।
আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে টনকি বাজারের সরকারি খাস জায়গা দখল করে দোকান ঘর তৈরী করে। অবৈধ ভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মাটি বিক্রি করে টনকি বিলকে সাগরে পরিনত করেছে।
ফলে ইউনিয়নবাসী বিভিন্ন সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করার পরও প্রাণনাশের হুমকি-ধমকির কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী কুমিল্লা বারের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহমেদ ফয়সাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন সরকারের বিরুদ্ধে আদালত মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে টনকি ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, মেম্বার মজিবুর রহমান অহেতুক একের পর এক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা করে হয়রানি করছে। কোন অভিযোগ ও মামলা-ই স্বাক্ষী দিয়ে প্রমান করতে পারেনি। প্রত্যেকটি মামলা ও অভিযোগই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রমানীত হলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।