১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় সালিসে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে যুবক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বাবুল মিয়া (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার খিলা ইউনিয়নের সাতেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবুল মিয়া সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন।

মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে সাতেশ্বর গ্রামের নড়াই বাড়ির পাশ দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রিমন হৃদয়।

এসময় একাধিক শিশুর গায়ে অটোরিকশার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে অটোরিকশাচালকের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য সন্ধ্যার পর সাতেশ্বর পূর্বপাড়ার একটি দোকানের সামনে সালিশ বৈঠকে বসে দুই পক্ষ।

এসময় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল মতিন, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এমরান হোসেনসহ গ্রামের গণ্যমান্যরা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোরিকশাচালক হৃদয়সহ তার পক্ষে থাকা সুমন, রুবেল, অন্তর, রিপন, আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি।

এসময় তারা অপর পক্ষের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের থামাতে গেলে হৃদয়সহ তার লোকজন চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।

এ সময় বাবুলের পায়ে, পিঠে ও হাত কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আহত দুলাল মিয়া, আবদুল মান্নান, মনির হোসেন, যুবদল নেতা এমরান হোসেনসহ পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাতেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!