কুমিল্লার মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা -কে এই ইকবাল
মহানগর ডেস্ক।।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩০)। ইকবালকে গ্রেপ্তারে গত কয়েক দিন ধরে চলছে জোর অভিযান।
ইকবাল হোসেনের ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি) অনুসারে তার বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। মায়ের নাম আমেনা বিবি। জন্ম তারিখ ৬ আগস্ট, ১৯৯২। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগর এলাকায়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন। বুধবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের একাধিক সংস্থার তদন্তে এটা সম্ভব হয়েছে। ইকবালকে গ্রেপ্তারে গত কয়েক দিন ধরে চলছে জোর অভিযান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে ইকবাল সবার বড়। পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখা ইকবালের মা আমেনা বিবি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ইকবাল ১৫ বছর বয়স থেকেই নেশা করা শুরু করে। ১০ বছর আগে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বিয়ে করে। ওই ঘরে তার এক ছেলে রয়েছে। পাঁচ বছর আগে ইকবালের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপর ইকবাল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়া বাজার এলাকার কাদৈর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করে। এই সংসারে তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইকবাল নেশা করে পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার করত। বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটেও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াত।
ইকবাল মাজারে মাজারে থাকতে ভালোবাসতেন জানিয়ে তিনি জানান, সে বিভিন্ন সময় আখাউড়া মাজারে যেত। কুমিল্লার বিভিন্ন মাজারেও তার যাতায়াত ছিল।
তার মা জানায়, ইকবালের সঙ্গে ১০ বছর আগে তার বন্ধুদের মারামারি হয়। এসময় তারা ইকবালকে পেটে ছুরিকাঘাত করে। তখন ইকবাল অপ্রকৃতিস্থ আচরণ শুরু করে।
আমেনা বেগম জানান, তিনি স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ইকবাল পূজামণ্ডপ থেকে হনুমানের গদা সরিয়ে সেখানে কোরআন শরীফ রেখেছেন। আমেনা বলেন, ইকবাল কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করতে পারে। তার বোধবুদ্ধি খুব একটা নেই। ছেলে সত্যিই যদি অন্যায় করে, তাহলে যেন তার শাস্তি হয়।
এবিষয়ে ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সোহেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে ইকবালকে চিনি। সে রঙের কাজ করত। মাঝে মাঝে নির্মাণকাজের সহযোগী হিসেবেও কাজ করত। ইকবাল ইয়াবা সেবন করায় প্রায়ই তাকে নিয়ে অনেক দেনদরবার করতে হতো।