প্রতিদিন রসুন খাওয়ার গুন জানলে, রসুন খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করবেন আপনিও
লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে দারুন কাজে আসে রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান। এছাড়াও, নিয়মিত রসুন খেলে ত্বক সুন্দর হয়, হজম ক্ষমতার উন্নতি হয়, ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও হার্ট ভালো থাকে। চলুন জেনে আসা যাক নিয়মিত রসুন খাওয়ার উপকারিতা-
১. আপনাকে করবে আরও আকর্ষণীয়
কোলাজিনের মাত্রা স্বাভাবিক রেখে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, শরীরে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিন দূরে রেখে রসুন আপনাকে করে তুলবে আরও আকর্ষণীয়।
২. সব ধরনের সংক্রমণ দূরে রাখে
আধুনিক মেডিসিনের তুলনায় রসুনে থাকা উপাদান ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাসসহ একাধিক জীবাণুর সংক্রমণ আটকে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. ব্ল্যাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে রসুনে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ সালফার। শরীরে সালফারের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে।আর শরীরের সালফারের ঘাটতি দূর করতে নিয়মিত এক কোয়া রসুনই যথেষ্ট।
৪. ইমিউনিটি বাড়ে
দেহে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের হয়ে যেতে সাহায্য করে রসুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠলে অনেক ছোট-বড় রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৫. চুল পড়া বন্ধ করে
প্রতিদিন যদি থেঁতো করা রসুন চুলে লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়, মাথার ত্বক ভালো থাকে এবং নতুন চুল গাজাতে সাহায়তা করে।
৬. দাঁতের ক্ষয়রোধ করে
ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে, মুখের গহ্বরের জন্য রসুন বেশ ভালো। এটি ক্ষতিকারক জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে এবং দাঁতের জন্য উপকারী উপাদানগুলো সরবরাহ করে।
৭. রক্ত বিষমুক্ত হয়
প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানির সাথে দুই কোয়া রসুন খেলে রক্তে থাকা নানা বিষাক্ত উপাদান শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। যার কারণে ধীরে ধীরে ত্বক এবং শরীর উভয়ই চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৮. শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
রসুন হার্ট এবং পেশীকে আরো কার্যকর করে তোলে। যদি আপনি খেলাধুলা করেন, তবে রসুন আপনার জন্য সুফল বয়ে আনবে। প্রাচীন গ্রীসে, যখন কেউ ডোপিং সম্পর্কে জানতো না, তখন অলিম্পিক ক্রীড়াবিদদের রসুন খাওয়ানো হতো। এতে তারা শারীরিকভাবে ফিট এবং শক্তিশালী হয়ে উঠতো। এছাড়াও, রসুন নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৯. ওজন কমাতে সাহায্য করে
রসুনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ কোলেস্টেরল ও চর্বির মাত্রা কমিয়ে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায়তা করে। এছাড়া, রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি প্রপাটিজের কারণে নানাবিধ যন্ত্রণা কমে, তেমনি হাড়ের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে।
বোনাসঃ
এতো উপকারি হওয়া সত্ত্বেও, রসুনের অনেক উপাদান গর্ভবতী মা এবং গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। তাই গর্ভবতী থাকাকালীন রসুন না খাওয়ায় উত্তম। সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে নিয়মিত এক বা দুই কোয়ার বেশি রসুন খাওয়া উচিত নয়।