২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপর নাম -“পদ্মবিল”

মোঃ উজ্জ্বল হোসেন বিল্লাল।।
মহানগর প্রতিনিধি।।

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে আমাদের চারপাশে। প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে আমরা মুগ্ধ হই। মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে পড়ে আমাদের মনজুড়ে। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণগ্রামে অবস্থিত পদ্মবিল তেমনই ভালো লাগার আবেশ সৃষ্টি করে। বিল ভ্রমণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এখানে জলজ ফুলের রানী পদ্ম প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে মেলে ধরেছে আপন সৌন্দর্য।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গতবছরের মতো এ বছর দেখা যাচ্ছে না তেমন পদ্ম। এ বছর পদ্ম না দেখার কারন হচ্ছে অনাবৃষ্টি। যেসময় সারি সারি পদ্ম দিয়ে বিস্তৃর্ণ থাকে গোটা এড়িয়া ঠিক তেমন সময় ছিল না কোনো বৃষ্টি। বর্ষার শেষের দিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেখা মিলে পদ্ম। পদ্ম দেখার জন্য ছুটে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে মানুষ। কিন্তু গতবছরের মতো এ বছর এতোটা ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে না।মানুষের উপস্থিতি খুবই নগন্য। বিকাল হলে কিছু মানুষ আসে।

পদ্মবিলের পাড়ে রয়েছে সারি সারি নৌকা। নৌকা করে মানুষজন তাদের পরিবার নিয়ে পদ্মবিলে যায়।কেউ ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ আবার পদ্ম ফুল স্পর্শের মাধ্যমে মনের আনন্দ খুজে বেড়ায়।

পদ্মবিলে ঘুরতে আসে কুমিল্লা সরকারি কলেজ পড়ুয়া একদল বন্ধবান্ধবী। তাদের মধ্যে একজন জাহিদ জানান আমরা গতবছর সবাই এসেছি, এবছর ও আসছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমাদের কাছে ভালো লাগে। কিন্তু গতবছরের মতো এ বছর তেমন কোনো পদ্ম দেখা যাচ্ছে না।

পদ্মবিলে ঘুরতে আসা সানজিদা জানান, আমি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে এসেছি। গতবছর অনেকের কাছ থেকে শুনেছি এ পদ্মবিলের কথা।কিন্তু আসার সুযোগ পাই না। এবছর আমি সহ আমার বন্ধুরা আসছি পদ্মাবিল ঘুরতে।এখানে এসে আমার অনেক ভালো লাগতেছে। তিন ধরনের পদ্ম ফুল আগে কোথাও দেখি নাই। এখানে এসে দেখলাম।

সকালের দিকে ফোঁটা পদ্ম বেশি দেখা যায়। পড়ন্ত বিকালে ফুলের সঙ্গে অস্তগামী সূর্য আপনার মনের কাব্যিকতা বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। বিলের পাশে জেলে পল্লীর মানুষজন প্রবল উৎসাহে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে ঘোরাবে। ফুলের দিকে বাড়তি নজর নেই কারও। ফলে পদ্ম ফুটে থাকে স্বগৌরবে।

পদ্মবিলের পাড়ে থাকা নৌকার মাঝি আনোয়ার জানান আমি মানুষকে নৌকা নিয়ে বিলের মধ্যে নিয়ে যায়।সবাই খুব কাছ থেকে পদ্মফুল দেখার সুযোগ করে দিই। বিনিময়ে মানুষ আমাকে কিছু টাকা দেই।আমি গতবছর নৌকা চালিয়ে প্রত্যেকদিন ৪০০০-৫০০০ হাজার টাকা পাইতাম।কিন্তু এ বছর এতো মানুষের উপস্থিতি তেমন নেই।মানুষ না থাকার কারনে ১০০০-১৫০০ টাকা পাই।

স্থানীয় এক জন প্রতিনিধি জানান আমাদের বুড়িচংয়ের দক্ষিণগ্রামে অবস্থিত এ পদ্মবিল।পদ্মবিল দেখার জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমায়।এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমি দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনার কেউ ফুল ছিড়বেন না। সবাই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবেন। পদ্মবিলে নৌকা চলার জন্য নির্দষ্ট কোনো সীমানা নাই। পদ্মফুলের উপর দিয়ে নৌকা চলে। ফলে পদ্মফুল নষ্ট হয়ে যায়। সরকারের একটা দাবি জানাবো পদ্মবিলে নৌকার চলার জন্য সীমানা করে দেওয়ার জন্য। এত করে ফুল নষ্ট হবে। সবাই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!