২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদে নামাজ পড়তে মানতে হবে ৯ নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক।।
চলতি মাসের শুরু থেকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মাস্ক পরিধানসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে ৯টি নির্দেশনা মানতে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এ ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেও অনুসরণীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গত ২৬ জুনের ডিওপত্রে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে ৯টি নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৬ নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান-সামজিক অনুষ্ঠান-শপিংমল-হোটেল-রেস্টেুরেন্টসহ সব জায়গাতে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে।

এদিকে মঙ্গলবার দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ জনের ‍মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৭ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশে।

গত ২৬ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হয়েছিলাম কিন্তু আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!