লকডাউনে ওসির পোশাক ছিঁড়ে পালাতে গিয়ে আটক ২
👁️নিউজ ডেস্ক ✒️
লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরিমানা আদায় করতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতাউর রহমান। সে সময় ওই কর্মকর্তার পোশাক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নীলফামারী শহরের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় সৈয়দপুর শহরের বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতিফ আলতাফ মাস্ক না পরে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিধিনিষেধ উপেক্ষা করার কারণে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ওই ব্যবসায়ীকে। আদালতের এ রায়কে উপেক্ষা করে ব্যবসায়ী আতিফ আলতাফ গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে আটক করতে পুলিশকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
এরপর প্রায় দেড় কিলোমিটার ধাওয়া করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতাউর রহমান শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে থেকে তাকে আটক করে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর হাতে লাঞ্ছিত হন পুলিশ কর্মকর্তা।
বর্তমানে পুলিশের হাতে আটক ওই ব্যবসায়ী ও তার ছোট ভাই আসিফ আলতাফকে চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আমরা নিয়মিত মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আদালতের কাজের সঙ্গে যুক্ত একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে সেখানে ছাড় দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রমিজ আলম বলেন, ওই ব্যক্তি লকডাউন বিধি অমান্য করে পালিয়ে যায়।
সে সময় আমি পুলিশকে নির্দেশ দেই তাকে ধরে এনে জরিমানার টাকা আদায় করার। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ধরে জরিমানার টাকা চাইতে গেলে ওই ব্যবসায়ী ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে এবং অপরাধের মাত্রা অনেক বেশি সেজন্য লকডাউন বিধিনিষেধ অমান্য করা ও মোবাইল কোর্ট আইন অমান্য করা ও পুলিশের উপর আক্রমণ করার অপরাধে পুলিশকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।