২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লুটপাটের পর হত্যা করে লাশ ফেলে দিত চক্রটি

নিউজ ডেস্ক।।
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে হত্যাকারীদের আসল পরিচয়। তারা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টির সদস্য।

সোমবার (১৬ আগস্ট) রাত থেকে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও গাইবান্ধা জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ, বিষাক্ত কোমল পানীয় ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন।

মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ সদর দপ্তর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার আদর্শ গ্রামের সাইফুল ইসলাম, তার সহযোগী পঞ্চগড় জেলার মসজিদপাড়া এলাকার শামীম, গাইবান্ধা জেলার দুর্গাপুর গ্রামের রনি মিয়া ওরফে টনি, রংপুর জেলার অন্যদান নগরের আব্দুল মান্নান শেখ, নাটোর জেলার পুটিমারী এলাকার সুমন, একই জেলার গালিমপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ ও গাজীপুর জেলার চান্না বৌবাজার এলাকার হাবিবুল্লাহ।

র‌্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ এই চক্রটি গত একযুগ ধরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হত্যা, ছিনতাই ও লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা পেশাদার অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্য এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক করে মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, গত ২১ জুলাই জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার টেংরারপাড় এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। ২৪ জুলাই নিহতের ছেলে কাজল হোসেন মর্গে গিয়ে বাবার লাশ শনাক্ত করলে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি জাহিদুল ইসলাম বলে পরিচয় বেরিয়ে আসে। এ ঘটনায় কাজল হোসেন ২৫ জুলাই রূপগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তবে ঘটনায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে র‌্যাব-১১ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দল তদন্ত শুরু করলে এরই সাতজনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব ওই হত্যা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।

গ্রেপ্তারকৃত অজ্ঞান পার্টির চক্রটি র‌্যাবকে জানায়, গত ২১ জুলাই ঈদে ঘরমুখো সাধারণ যাত্রীদের কম টাকায় পরিবহনের আশ্বাস দিয়ে কুমিল্লা থেকে জাহিদুলসহ পাঁচজনকে কৌশলে একটি ট্রাকে উঠিয়ে তারা নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর পাঁচজনকে অজ্ঞান করার পর জাহিদুলের মৃত্যু হলে সবার মালামাল লুট করে তারা। পরে জাহিদুলের লাশ রুপগঞ্জে ডোবায় ফেলে এবং অপর চারজনকে অজ্ঞান অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়ে তারা পালিয়ে যায় বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!