৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম’ চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক।।
ফরিদপুরে একটি বাসা থেকে সবুজ ঢালি (২৩) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিনগত রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটের একটি ফ্লাট বাসা থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সবুজ ঢালি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে। মৃত্যুর আগে সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মায়ের কাছে চলে যাবার কথা চিরকুটে লিখে যায় সবুজ।

নিহতের ভাবি লিজা বেগম জানায়, গত ৪ মাস হলো তারা এখানে ভাড়া উঠেছে। গত ৩ মাস দেবর সবুজ তাদের সাথেই থাকে। দুপুর ১টার দিকে দুজনেই একসাথে দুপুরের খাবার খাই।

পরে আমি পার্লারে কাজে চলে যাই। বিকেল ৪টার দিকে আমাকে কল করে জিজ্ঞাসা করেছে রান্না করতে হবে কি না? আর আপনার আসতে দেরি হবে কিনা? এতটুকুই তার শেষ কথা।

নিহত সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, বউ বাচ্চা আর ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায় তার বাচ্চারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার বাসার দরজা ভিতর থেকে আঁটকানো। বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না।

তাছাড়া বাচ্চা গুলোর মা পার্লারে চাকরি করেন সেও বাসায় নেই। এমন খবর পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফেলে রেখে বাসায় ছুটে এসে দরজা ভেঙে ছোট ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই।

মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুটে সবুজ লিখেছে আমি খারাপ তাই চলে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না আমার কি হবে?

০১৬০৮,,,,, নম্বরে আমি ওর কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দিবেন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম, এটাই ছিল তার চিরকুটের শেষ কথা।

এব্যাপারে কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, একটি ফ্লাট বাসার ডাইনিং রুমের ফ্যানের হুকের সাথে লাইলন রশি দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এসময় পাশের রুমের ওয়ার্ডড্রপের উপর রাখা নিহতের মানিব্যাগের মধ্যে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এব্যপারে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!