৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা রাজগঞ্জে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদ।।
কুমিল্লায় আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ৪ ফায়ার সার্ভিস কর্মী কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশের গেটের বিপরীতে লি কুপারের শোরুমে আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী।

গতকাল রাত সাড়ে আটটায় ওই শোরুমটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নগরীর বাগিচাগাঁও থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাজগঞ্জ গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় নেভাতে সক্ষম হন।

ফায়ার সার্ভিস ও লিক কুপারের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় জেনারেটর স্টার্ট দেয়ার সাথেই এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান দোকান কর্মীরা।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস এর কর্মী জমির আলী আগুন নিভাতে গিয়ে আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আলাউদ্দিন নামে আরো একজনের হাত কেটে যাওয়ায় তাকে সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। অন্য যে দুজন আহত হয়েছেন তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্টেশনেই আছেন।

তিনি আরো বলেন, যে জায়গাটিতে আগুন লেগেছে তা অনেকটা গোডাউনের মত। যে কারণে ধোঁয়ার মধ্যে প্রবেশ করলেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী জমির আলী আহত হন।

অগ্নিকাণ্ডের সময় সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনটিতে প্রবেশ করতেই সময় নেই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। প্রবেশপথ সরু হওয়ায় লিকুপার এর শোরুমে উঠতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

পরে ভবনের পূর্ব পাশে জানালা ভেঙে এবং উত্তর পাশে কাচের দেয়াল ভেঙে প্রবেশ করতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

অন্যদিকে আগুন নেভানোর শুরুতেই প্রায় আড়াইশো মিটার দূরের রাজবাড়ি পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কেয়ার। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।

দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর আল আমিন সাদী ও স্থানীয় দোকানদারগণ।

কাউন্সিলর সাদী বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। প্রথমে নিজেরাই চেষ্টা করি আগুন নেভানোর। এরই মধ্যে খবর পেয়ে চলে আসে ফায়ার সার্ভিস।

আগুন নেভানোর দৃশ্য দেখতে উৎসব জনতা কে সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে সবাইকে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন খুব বেশি না ছড়ালেও যে দোকানটিতে আগুন লেগেছে সেখানে লেদারের জুতা এবং ব্যাগ আগুনে পুড়তে থাকায় প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়।

লেদারের পণ্য পোঁড়ায় ওই শোরুমটির ভেতরে যে বিষক্রিয়া হয়েছে তাতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে উদ্ধারকারীদের। সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!