৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা সদর হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, তদন্ত করছে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল (সদর হাসপাতাল) থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতালের সবাব ফয়জুন্নেছা গাইনি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। চলছে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবদুল করিম খন্দকার বলেন, ওই বাচ্চা সুস্থ ছিল। তাদের গাইনি ডাক্তার দেখানোর কোনো পরামর্শ কেউ দেয়নি। হাসপাতালে টিকিট কাটার জন্য নবজাতকের কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, নবজাতকসহ তার মা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সত্বেও নবজাতককে নিয়ে তার নানী কেন টিকিট কাউন্টারে আসলেন এবং কেনইবা নবজাতককে অপরিচিত মহিলার কোলে দিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।

শিশুটির মা আয়েশা আক্তার জানান, তার বাড়ি নগরীর বারপাড়ায়। তার স্বামীর নাম জসিম উদ্দিন। গত ৯ আগষ্ট শিশুটি সিজারে জন্ম নেয়। কাল নয়তো পরশু হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি গিয়ে সন্তানের নাম রাখবেন।

সকালে বুকের দুধ পাচ্ছিলো না শিশুটি। তাই ডাক্তার দেখানোর জন্য আমার মা নুরজাহান বেগম আমার মেয়েকে কোলে নিয়ে টিকেট কাঁটতে যায়।

এ সময় অন্য একজন মহিলার কোলে দিয়ে যায়। পরে টিকেট কেটে এসে দেখে আমার বাচ্চাসহ ওই নারী গায়েব হয়ে গেছে।

নবজাতকের নানী নূরজাহান বেগম বলেন, এক অপরিচিত নারী আমাকে বলে টিকিট কেটে দেবে। এই বলেই আমার কোল থেকে তাকে নিয়ে গেছে। সে টিকিট কাউন্টারের পেছনে দিয়ে গিয়ে আর আসেনি।

নবজাতকের বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ইপিজেডে কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার আমার মেয়ে ভূমিষ্ঠ হয়। আমার স্ত্রী এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল।

আজ গাইনি চিকিৎসক দেখানোর জন্য আমার শাশুড়ি টিকিট কাউন্টারে আসে। এখানে এলে একজন মহিলা শাশুড়িকে বলেন, উনি টিকিট কেটে দেবেন।

নবজাতককে তার কাছে দেওয়ার জন্য। আমার শাশুড়িও ওই নারীর কোলে বাবুকে দেয়। এরপর তিনি বাবুকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি করেছেন বলে জানান।

হাসপাতালের নবাব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডের ইনচার্জ ফাহিমা আক্তার বলেন, শিশুটি ভালো ছিলো। তবুও শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বলছিলো শিশুটি নাকি বুকের দুধ পাচ্ছে না।

সকালে চিকিৎসক এসেও শিশুটিকে স্বাভাবিক দেখেন। পরে শিশুটির মা কার সাথে কথা বলে আউটডোরে টিকেট কাটতে যান। কিছুক্ষণ পর আয়েশা আক্তারের মা এসে চিৎকার করে জানান তার নাতিনকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে।

আয়েশা আক্তার কেন তার মা সাথে থাকার পরেও অন্য মহিলার কোলে তার শিশুটিকে দিয়ে টিকেট কাটতে যাবে এটা বুঝতেছি না।

এদিকে অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি জেনেছি। নবজাতকের নানী অচেনা এক নারীর কোলে বাচ্চাটিকে দিয়েছিলেন।

এরপর থেকে নবজাতকসহ সেই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!