ভালোবেসে বিয়ের পনেরো দিন পর দেবিদ্বারে গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা
দেবিদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী(মাজার সংলগ্ন) গ্রামে স্বর্ণা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
বুধবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টায় বাড়ির পাশে গাছের সাথে ঝুঁলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
স্বার্ণা উপজেলার ধামতী গ্রামের মোঃ সুন্দর আলীর চতুর্থ মেয়ে এবং একই এলাকার রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুল হাসানের স্ত্রী।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণা পাশের বাড়ির রহিম মাস্টারের ছেলে কামরুল হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।কিন্তু ছেলের পরিবার তা মানতে নারাজ। তাই ছেলে মেয়ে গোপনে গত ২০ এপ্রিল কোর্টে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিবাহ করে। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মেনে নিলেও ছেলের পরিবার মানেনি। তাই কামরুল বউ নিয়ে শশুড় বাড়িতে থাকে।
গতকাল স্ত্রীকে শশুড়বাড়িতে রেখে জরুরী কোনকাজে পার্শবর্তী এলাকায় তার বড় ভায়রার বাড়ি যায়। স্ত্রী স্বর্ণা বাপের বাড়িতে থেকে যায়। হটাৎ অজানা কারনে রাতে ঝর্ণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
এ বিষয় স্বর্ণার স্বামী কামরুল হাসান বলেন, আমি স্বর্ণাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমার পরিবার না মানায় স্বর্ণাকে নিয়ে আমি শশুড়বাড়িতে অবস্থান করি। তার সাথে আমার কোন ঝগড়া বিবাদ কিছু হয় নাই। গতকাল জরুরী কাজে বড় ভায়রার বাড়িতে যাই।রাতে তার সাথে মোবাইলে প্রায় দুই ঘন্টা কথাও বলি।পরে আমি ঘুমিয়ে যাই। সেহরীর সময় শুনি আমার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে। আমি এর সুস্থ তদন্ত চাই। আমার স্ত্রী কি কারনে আত্নহত্যা করলো? নাকি তাকে কেউ হত্যা করেছে? আমি প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই?
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বলেন, আমি খবর পেয়ে লাঁশ উদ্ধারের জন্য ফোর্স পাঠিয়েছি।সুরতহাল তৈরি করে লাঁশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে এসে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।