২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপনিও কি বেছে বেছে পাকা চুল তুলে ফেলেন? … সাবধান, আজই সতর্ক হন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
বেছে বেছে পাকা চুল তোলার অভ্যাস কি আপনারও রয়েছে? জেনে নিন আপনার এই অভ্যাস কী বিপদ ডেকে আনছে…

এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের অল্পবয়সেই চুলে পাক ধরতে শুরু করেছে। সাধারণত মাথার চামড়ায় (ত্বকে) পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে চুল পাকতে পারে। হজমের সমস্যা বা লিভারের সমস্যার ফলেও চুল অকালে পেকে যেতে পারে। অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই অস্বস্তিতে বোধ করেন। অনেকেই তাই পাকা চুল বেছে বেছে তুলতে থাকেন। কিন্তু এ ভাবে পাকা চুল তুলে ফেললে চুলের কতটা ক্ষতি হয় জানেন?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ ভাবে বেছে বেছে পাকা চুল তুলতে থাকলে চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ ক্ষেত্রে মার্কিন হেয়ার রেস্টোরেশন সার্জন রবার্ট ডোরিনের ব্যাখ্যা, আমরা যখন মাথা থেকে বেছে বেছে পাকা চুল তুলি তখন চুলের কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়। চুলের বৃদ্ধির গতি এবং নতুন চুল গজানোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।

ফলে নতুন চুল গজালে তা আগের তুলনায় রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নতুন চুল না-ও গজাতে পারে। তাই অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে সেই অস্বস্তি থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে পাকা চুল না তোলাই মঙ্গল। কারণ, পাকা চুলের অস্বস্তি থেকে সাময়িক মুক্তি পাওয়ার চেষ্টায় উল্টে মাথায় চাক পড়ে যাওয়াটা মোটেই কাঙ্খিত নয়। তাছাড়া, বাজার চলতি একাধিক দামি, ভাল হেয়ার ডাই ব্যবহার করে পাকা চুল কালো করে নিতে পারেন। রাসায়নিক যুক্ত হেয়ার ডাই ব্যবহার না করেও একাধিক প্রাকৃতিক উপায়ে অকালে পেকে যাওয়া চুলের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

বিষয়টি হলো যে যায়গা থেকে চুল তুলে ফেলা হবে, সেখান থেকে প্রাকৃতিক ভাবেই আবারও চুল গজাবে এবং সেটা পাকাই হবে। পাকা চুল এমনিতেই মোটা। তাই তুলে ফেলা চুলের গোড়া থেকে যখন আবারও চুল গজাবে, সেটাও একই রকম হবে বলে জানিয়েছেন টরেন্টোর ডার্মাটোলজিস্ট মারটি গিডন। তবে তিনি জানিয়েছেন, পাকা চুল তুলে ফেললে নতুন চুলটি ইনগ্রোন হেয়ারে পরিণত হতে পারে এবং ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। তাই পাকা চুল না তোলাই ভালো। তবে একটি চুল তোলার কারণে একাধিক সাদা চুল গজায়, এই ধারণাটি ভুল।

চুল পেকে গেলে অনেকেই পুরো চুল রঙ করে ফেলেন। এতে চুলের ক্ষতি হয়। চুলের বাইরের আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও চুলের রঙ থাকে অ্যামিনোফেনল, ডায়ামিনোবেনঞ্জিন এবং ফেনিলেনডিয়ামাইন। এই কেমিক্যালগুলো শরীরের ক্ষতি করে। এমনকি নিয়মিত হেয়ার কালার ব্যবহারে ক্যানসারও হতে পারে। তাই মেহেদির মতো প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করতে পারেন অথবা সাদা চুলগুলোকেই যত্ন করে ঝলমলে করে রাখতে পারেন।

হেয়ার ড্রেসার মার্ক অ্যান্থনি সাদা চুলকেও আকর্ষণীয় করে রাখার উপায় জানিয়েছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন ব্লু-বেজড বা ভায়োলেট-বেজড শ্যাম্পু ব্যবহারের জন্য। এতে সাদা চুল আরও উজ্জ্বল ও ঝকঝকে দেয়ায় এবং হলদে ভাব কমে যায়। ধূমপান, অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে বের হওয়া কিংবা অতিরিক্ত হেয়ার স্টাইলিং প্রোডাক্টস ব্যবহারের কারণে চুল পাকা বেড়ে যায় এবং সাদা চুলও অনুজ্জ্বল, হলদেটে হয়ে যায়। অল্প চুল পাকলে বাকি চুলে হাইলাইট করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এতে সাদা চুলগুলো আর বোঝা যাবে না তেমন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!