২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একই সন্তানকে দুবার জন্ম দিলেন মা!

লাইফস্টাইল ডেস্ক।।
শুধু স্পর্শকাতর মানবিক অনুভূতিগুলোর জন্য পৃথিবীতে একমাত্র জীব মানুষই শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে আছে। সত্যিই যে মানুষ এর যোগ্য, তা আবারও প্রমাণ মিলল মাতৃত্বের এক অনবদ্য ঘটনা থেকে।

নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ২৩ বছর বয়সী আমেরিকান এক মা জাইডেন অ্যাশলিয়া তার সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে একবার নয়, দুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন তবুও তার সন্তানকে মরতে দেননি।

মা হওয়ার মতো সুখকর আনন্দে ভেসে যেতে দুবার তার সন্তানকে জন্ম দেওয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। এ দুঃখ তিনি নেটদুনিয়ায় সবার সঙ্গে শেয়ারও করেছেন। ওই সময়ের যন্ত্রণা তিনি টিকটকে ভিডিও করে প্রকাশ করলে সবার মধ্যে এ ভিডিও এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে।

এ বিষয়ে তার চিকিৎসকরা জানান, গর্ভে থাকা পুত্র সন্তানের কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল যা সুস্থ সন্তান জন্মের বিষয়টিকে প্রশ্নচিহ্ন জুড়ে দিয়েছিল। কারণ গর্ভকালীন ১৮ সপ্তাহে শিশু ভ্রুণে কিছু জটিলতা ধরা পড়ে।

স্পিনা বিফিডা নামক একটি ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসকরা কোনো আশার আলো দেখছিলেন না। যা শেষ পর্যন্ত শিশুর ব্রেনকে ডেড করেও দিয়েছে বলে মনে করেছিল অনেক বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু মা এভাবে তার সন্তানকে বিদায় দিতে না চাইলে বিশেষজ্ঞরা এক নতুন পথের আশ্রয় নেন। এ পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা সিজারিয়ান অপারেশন করে শিশুটিকে বের করে শিশুর পিঠের শারীরিক সমস্যা ঠিক করে আবার গর্ভে রেখে দেন।

অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আবার সেই সন্তানকেই গর্ভে ধারণ করেন মা অ্যাশলিয়া। এরপর নির্দিষ্ট সময় মায়ের গর্ভে থাকার পর শিশুটিকে আবার অস্ত্রোপচার করে সুস্থ অবস্থায় বের করেন চিকিৎসকরা।

এর আগেও একবার মুসৌরিতে এক মমতাময়ী মা সন্তানকে বাঁচাতে ১৯ সপ্তাহ বয়সী শিশুকে তার স্বাস্থ্য সমস্যা নিরাময়ের জন্য বাইরে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তারপর অপারেশনের পর তাকে তার মায়ের গর্ভে আবার রাখা হয়েছিল একই উপায়ে।

সন্তানকে বাঁচাতে মায়েরা যে অসাধ্য সাধন করতে পারে এমন ঘটনা তারই এক দৃষ্টান্ত। তাই আমরা সবাই যেন মায়ের যোগ্য সম্মান দিতে পারি সৃষ্টিকর্তার কাছে–এই হোক সবার অব্যর্থ প্রয়াস।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!