কাউন্সিলরসহ জোড়া হত্যা: আরও এক আসামির দায় স্বীকার
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এমরান হোসেন রিশাত (২৩) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক ফারহানা আক্তারের কাছে জবানবন্দি দেন দেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রিশাত।
জেলা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস জানান, রিশাত তিন দিনের রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও অস্ত্র সরবারাহের কথা স্বীকার করেছে রিশাত।
এর আগে গত সোমবার রাতে নাজিম ও হিট স্কোয়াডে রিশাতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এই দুই আসামিকে আদালতে তুলে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
গত মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় অপর আসামি নাজিম। গত ২২ নভেম্বর বিকাল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও সহযোগী হরিপদ সাহা।
কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় সাত ও সিসিটিভি ফুটেজ এবং তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কিলিং স্কোয়াডে অংশ নেওয়া আরও চার জনকে গ্রেফতার করে।
এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি শাহ আলমসহ তিন জন নিহত হন।