কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় আরো ৩ আসামি গ্রেপ্তার; হত্যার কাজে ব্যবহৃত গাড়ী জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় জব্দ করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি বোরকা, হিজাব ও খুনিদের ব্যবহৃত দুই জোড়া ক্যানভাস সু।
সোমবার ৮ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
গ্রেফতার তিনজন হচ্ছে- তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মৃত কালু নিয়ে ছেলে মোহাম্মদ রবি, একই এলাকার মৃত আসাদ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ শাহপরান এবং তিতাস উপজেলার লালপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের শামসুল হকের পুত্র সুমন হোসেন।
এর আগে এই মামলায় এজাহারনামীয় তিন আসামিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এনিয়ে কুমিল্লার চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে আটটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত।
এ ঘটনায় ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনের নামে মামলা করেন নিহত জামালের স্ত্রী পপি আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা সকল সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বোরকা পরা তিনজনকে শনাক্তের জন্য ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়।
আসামিদের ঘটনাস্থলে প্রবেশ ও বাহিরের রাস্তা সনাক্ত করা হয়। বিশ্লেষণ করে ঘটনার রাতে আসামিদের ব্যবহৃত একটি কালো হাইস্ গাড়ির চালক মোহাম্মদ সুমনকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পড়ে তার গাড়িটি জব্দ করে তার বাসা তল্লাশি করে এবং তার দেখানো মতে ঘটনার সময় বোরকা পরিহিত আসামিদের ব্যবহৃত দুইজোড়া ক্যানভাস স্যু এবং সুমনের একটি ট্রাউজার জব্দ করা হয়।
এছাড়াও মোহাম্মদ শাহপরান এবং মোহাম্মদ রবিকে ডিএমপি ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার শাহাপরান ঘটনার সময় ঢাকায় অবস্থান করে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিদের সাথে ঘটনার আগে ও পরে যোগাযোগ করে এবং আত্মগোপনে থাকার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে।
সে হত্যা মামলার ৮ নং এজাহারনামীয় আসামি অলি হাসানের ভায়রাভাই হয়।
অপরদিকে গ্রেফতার রবি মামলার এজাহারনামীয় ৯ নং আসামী কালা মনিরের ভাই। সে ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান করে শুটারদের কে তথ্য দেয় এবং পালাতে সাহায্য করে।
চাঞ্চল্যকর জামাল হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন