কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী পলাতক
নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে সানজিদা আক্তার শারমিন (২৩) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রজস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের পরিবারের দাবি হত্যা, ছেলের পরিবারের দাবি আত্মহত্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌর এলাকার রামরায় গ্রামের মীর হোসেন মিলনের মেয়ে সানজিদা আক্তার শারমিন ও ছাতিয়ানী গ্রামের হাজী মোসলেম উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবিব প্রেমের সূত্র ধরে ৪ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো।
পরবর্তীতে বিয়ের এক বছর পর আহসান হাবিব প্রবাসে চলে যায়। এরই মধ্যে তাদের সামিয়া নামে একটি কন্যা সন্তান হয়।
সম্প্রতি ছুটিতে স্বামী আহসান হাবিব দেশে আসার পর থেকেই দুজনের মধ্যে আবারও ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল।
স্বামী আহসান হাবিবের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিরিন বেগম দাবি করেন গতকাল শুক্রবার সকালে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সানজিদা আক্তার শারমিনকে নিয়ে চৌদ্দগ্রামে ডাক্তার দেখাতে যায় স্বামী আহসান হাবিব।
সেখান থেকে বাড়িতে আসার পথে আবারও দুজনের মধ্যে পারিবারিক কারণে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নিহত সানজিদা আক্তার শারমিন রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী আহসান হাবিব পলাতক রয়েছে। নিহত শারমিনের বাবা মীর হোসেন মিলন জানান, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে-অকারণে আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চলে আসছিল।
স্বামী আহসান হাবিব প্রায় সময়ে মেয়েকে দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করতো। সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে, আমি তার বিচার চাই। তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানান, ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।