কুমিল্লা চান্দিনায় অগ্নিকান্ডে বসত ঘর পুড়ে ছাঁই
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার চান্দিনায় এক বসত ঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টায় উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
১৪ কক্ষ বিশিষ্ট টিনসেট বিল্ডিং এর ওই ঘরটিতে ওই গ্রামের আলহাজ্ব মৌলবী মৃত আলী নেওয়াজ (মাস্টার) এর তিন ছেলে বসবাস করতেন।
অগ্নিকান্ডে মো. আতাউল্লাহ জহির, মৌলভী মো.ছফিউল্লাহ ও কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এমদাদ উল্লাহ’র পরিবারের সর্বস্ব পুুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী কেউ বা কারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
ছফিউল্লাহ জানান, রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে আমরা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৩টার দিকে আমাদের ওই বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
কিন্তু ওই কক্ষে কোন বৈদ্যুতিক লাইন, ব্যাটারী কিছুই ছিল না। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে চান্দিনা, বরুড়া ও পাশ্ববর্তী জেলা চাঁদপুরের কচুয়া ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। ততক্ষণে আমাদের ঘরের সবর্স্ব পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। আমরা এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয়ে জীবন বাঁচাই।আমাদের ধারণা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ বা কারা আমাদের ঘরে অগ্নি সংযোগ করে।
এতে ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, কাগজপত্র স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও দলিল, সার্টিফিকেট মূল্যবান কাগজপত্র সহ অন্তত এক কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা অনয় কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান আগুন আগুন নেভাতে, তাছাড়া পাশ্ববর্তী উপজেলার ফায়ার ষ্টেশন ওর কর্মীরা কাজ করেছে। ভুক্তভোগীদের একটি ঘুর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তদন্ত করে জানা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।