২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে হত্যার আসামিরা জামিনে, বাদীকে ‘হুমকি’

মহানগর ডেস্ক।।
হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে কারাগার থেকে বের হয়ে এসে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে।

এ ঘটনায় বাদীর পরিবারসহ এলাকাবাসীরা মিলে নিরাপত্তা ও খুনিদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন করেন। শুক্রবার বেলা ১১ টায় বাগড়া-কুমিল্লা সড়কে কালিকাপুর বাজার ও কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু সরকারি কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিহত খায়েরের বাবা সুলতান আহমেদ, মা রোকেয়া বেগম, ভাই রুবেল, বোন হাসনে আরা আক্তার আরজু, ভাই পারভেজ বাবু, হত্যা মামলার স্বাক্ষী জেসমিন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন রেজা, আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম মাস্টার, সাবেক মেম্বার রফিজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল বাশার তোতা মিয়া, প্রভাষক মাহবুব আলম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা গোলাম জিলানী জীবন, জলিল মিয়া, যুবলীগের নেতা শাহাজাহান ভান্ডারী, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রাজিব, শাহ পরান মাজন, শাকিল, সুমন, ইমরান, কাউছার, এবাদুল এবং সাখাওয়াত হোসেন বিল্লাল ।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, খায়ের হত্যা মামলার মূলহোতা সুন্দর আলী ও অন্যান্য আসামীরা জামিনে এসে আবারও নিহত খায়েরের পরিবারের উপর হামলা চালায়।

এ সময় আসামীরা বলে, মামলা তুলে না নিলে পরিবারের অন্য সদস্যদের মেরে ফেলা হবে। খুনিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টিআকর্ষণ করে বলেন, হত্যাকারীরা যেন কোনোভাবে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায়।

উল্লেখ্য; গত ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মসজিদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সুন্দর আলী ও তার বাহিনীর কবির, জুয়েল, জসিম, রবিউল, আলমগীর, ফরিদ মিয়া, জাকির হোসেন, ইস্রারাফিল মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনন্দপুর গ্রামের সুলতান আহমেদ, খায়ের, রুবেল উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হয় খায়ের ও রুবেল। আবুল খায়ের ও রুবেলকে আহত অবস্থায় ঢাকা এলিফেন্ট রোড জেনারেল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে ৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় খায়ের। এ ঘটনায় নিহত আবুল খায়েরের বাবা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

দীর্ঘ ৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত খায়ের হত্যার সঠিক বিচার হয়নি বলে দাবি করে তার পরিবার। এদিকে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে এসে খুনিরা আবারও বাদীসহ তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছে। ফলে নিহতের স্বজনদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও আতঙ্ক।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!