কুমিল্লা বুড়িচংয়ে বৈদ্যুতিক আগুনে বসতঘর পুড়ে ছাই
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে আগুনে পুড়ে একটি বাড়ির ৫টি ঘর পুড়ে ছাই।
গতকাল রাত আনুমানিক ৮টায় মিরপুর জামে মসজিদ সংলগ্ন মৃত চেরাগ আলীর ছেলে রহমত আলীর (লকু) বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।
হতাহত না হলেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রহমত আলী ও তার পরিবারের ৪টি ঘরের ভেতরে থাকা সকল আসবাবপত্র নগদ অর্থসহ আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লক্ষাধিক টাকার মালমাল সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, রাত আনুমানিক ৮টায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে রহমত আলীর ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মূহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পরে বাড়িটির আশেপাশের আরো ৪টি কক্ষে। বাড়ির লোকজন দ্রুত ঘর থেকে বেড়িয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।
বৈদ্যুতিক আগুনের লেলিহান শিখার তাপ ও ভয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে কেউ এগিয়ে আসতে পারেননি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রায় আধাঘন্টা পর স্থানীয়দের কয়েকজনের সহায়তায় পুকুর থেকে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে ঘরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ৮লক্ষাধিক টাকা হতে পারে, এছাড়া বাড়ির পাকা দেয়াল ও টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় রহমত আলী লকু ও তার পরিবারের সদস্যরা।
বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।
এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। আগুনে বাড়িটির ৪টি কক্ষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে লিখত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাবেদ হোসেন কে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লালন হায়দার।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কে অবহিত করা হয়েছে, তাছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হবে।