চৌদ্দগ্রামের পন্নারায় চাদাঁবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, থানায় অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে চাদাঁ না দেয়ায় কনকাপৈত ইউনিয়নের পন্নারা গ্রামের মাইন উদ্দিন খোকন (৫০) নামের এক ব্যাক্তি ও তার দুই মেয়েকে মেরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় আহতের ভাই আব্দুল আওয়াল (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের নাজিম উদ্দীন (৩৭) ও সারোয়ার হোসেন (৪৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পত্র সূত্রে জানাযায়, আসামী নাজিম উদ্দীন (৩৭) ও সারোয়ার হোসেন (৪৫) কনকাপৈত ইউনিয়নের পন্নারা গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে। অভিযুক্ত আসামী নাজিম উদ্দীন এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।
অভিযোগে উল্লেখ যে, ভিকটিম মাইন উদ্দিন খোকনের কাছে দীর্ঘ দিন যাবৎ এক লক্ষ টাকা চাদাঁ দাবী করে আসছে বিবাদীরা। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করা হলে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে পরে এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামীরা আরও ৪/৫ সন্ত্রাসী সহ ধারাল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করলে সে গুরতর ভাবে আহত হয়।
এসময় ভিকটিম ও তার ভাইয়ের কাছে থাকা নগদ অর্থ ও স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামীরা। ভিকটিমকে হাসপাতাল নেয়ার পথেও সন্ত্রাসীরা রাস্তা আটকিয়ে রাখে এবং কোন ধরনের আইনী সহায়তা যাতে না চায় তার জন্য হুমকী-ধমকী প্রদান করে।পরে ভিকটিমকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হসপিটালে প্রেরণ করে।
ভিকটিম ও তার পরিবার জানায়, আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।
এ বিষয়ে ২য় আসামী সারোয়ার হোসেন জানায়, আমি রাজনীতি করি। মাইন উদ্দিন খোকন ও তার পরিবারের সাথে আমার রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে। তারা আমার ভাইকে মেরে আহত করেছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
চাদাঁবাজির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাবাসী জানায়, আসামী নাজিম উদ্দীন এলাকায় এসে এ ধরণের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারি না। তাঁর এই অপকর্মের কাছে এলাকার যুব সমাজ এবং শিক্ষিত সমাজ হুমকির মুখে আমরা তার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এবিষয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এই দুই পরিবারের সাথে ঝামেলা চলে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে । সামাজিক ভাবে মিমাংসা না হলে আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।