জয়ের অন্যতম নায়ক এবাদতের বাড়িতে আনন্দের বন্যা
খেলাধুলা ডেস্ক।।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। এ জয়ের অন্যতম নায়ক পেসার এবাদত হোসেন চৌধুরী। এবাদত হোসেনের ক্রিকেটের হাতেখড়ি তার নিজ গ্রাম মৌলভীবাজারের সীমান্ত উপজেলা বড়লেখার কাঁঠালতলিতে। এবাদতের এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সে তার পরিবার ও গ্রামের লোকজন আনন্দে আত্মহারা। শীতের আমেজে মধ্যদুপুরে বাড়িতে একরকম সুনসান নিরবতা থাকলেও বাড়ির ভিতর-বাইরে অন্যরকম এক আনন্দের বন্যা বইছে।
এ আনন্দ শুধুই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য নজির সৃষ্টিকারী এবাদত হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে। পরিবারের বাবা মা ও ভাই সকলেই যেমন তার এ পারপরম্যান্সে খুশি, তেমনি পাড়া-প্রতিবেশি ও তার খেলার সাথিরাও খুশি।
এবাদতের পরিবারের স্বজনরা জানান, ছোট বয়স থেকেই সে ক্রিকেট খেলার প্রতি খুবই আগ্রহী। মৌলভীবাজার সীমান্ত উপজেলা বড়লেখার কাঁঠালতলি গ্রামে বাড়ির পাশের মাঠ থেকেই তার ক্রিকেট খেলার হাতেখড়ি।
পর্যায়ক্রমে সে কাঁঠালতলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে প্রথম থেকেই ব্যাপক সফলতা পায়। এরপর একে একে বড় পর্যায়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায়। এভাবেই সে এগিয়ে যেতে থাকে। তার গ্রামের বাড়ির রেকজুড়ে শুধু ক্রেস্ট আর সফলতার সনদ।
২০০৮ সালে এবাদত চাকরি নিয়ে বিমান বাহিনীতে যোগ দেয়। সেখানেও সে ক্রিকেটে পারদর্শীতা দেখায়। একপর্যায়ে ২০১৬ সালে রবি ফাস্টবোলার হান্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তার জীবনের গতি পাল্টে যায়। সেখানে বোলিং পারফরম্যান্সে সে শীর্ষ স্থান পায়। এরপর থেকেই সে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পায়।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং করতে নেমে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক জয় পায় এবাদতের ৬ উইকেটের কল্যাণে। এতে বাংলাদেশ যেমন গর্বিত তেমনি গর্বিত তার পরিবারও।
এবাদত হোসেন চৌধুরীর মা সামিয়া বেগম চৌধুরী জানালেন, তিনি রাত জেগে খেলা দেখেছেন। তার ছেলে এবাদত ছাড়াও অন্য খেলোয়াদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেছে। তার ছেলে দেশের জন্য গৌরব এনে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের মতো এতো একটি বড় দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। তার ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে।
তিনি আরও জানান, এবাদত নিউজিল্যান্ড থেকে তাকে ফোন করেছিলো। ফোনে তার বাবা ও ভাইদের সাথে কথা বলেছে। বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, সে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি এবাদতের ঝোঁক ছিল। জাতীয় পর্যায়ে খেলার আগে স্থানীয়ভাবে সে বহু পুরষ্কারে আমার ঘর ভরিয়ে দিয়েছে। আজ তার এমন খেলায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতে তিনি খুবই খুশি। তার ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাইলেন।