২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবাকে হত্যা করলো ছেলে

অনলাইন ডেস্ক।।
ছেলের ছুরিকাঘাতের ১৩ দিন পর নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কদমরসুল কলেজ মাঠপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে বাপ্পিকে (২০) শুক্রবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিল্লাল মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাপ্পি এলাকায় এলে স্থানীয় ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, বিল্লাল পেশায় ড্রাইভার। তার স্ত্রী হেলেনা এক বছর আগে মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়ের দেখাশোনার জন্য তিন মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

দ্বিতীয় স্ত্রী সংসারে এসে ছেলে-মেয়েকে নিজের সন্তানের মতোই আদর যত্ন করতেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। এদিকে, দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল বাপ্পি।

সে বিয়ে করার জন্য পরিবারকে চাপ দেয়। বিল্লাল ছেলেকে বলেন, বয়স হলেই বিয়ে করাবেন। এতে বাপ্পি ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে বিল্লাল ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে গেলে বাপ্পি বাবার ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে।

নামাজ শেষে নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়লে বাপ্পি বিল্লালকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে স্ত্রী আমেনা বেগম জেগে উঠলে তাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বাপ্পি।

বাড়ির লোকজন স্বামী-স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়।

এদিকে সৎ মা আমেনা বেগম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় নিহত বিল্লালের ভাই বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পারিবারিক কারণে ছেলের হাতে বাবা খুন হয়েছেন।

নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিল্লালের ছেলে বাপ্পিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!