১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি আটক

পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ জিমিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৬ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গুলশান থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-উত্তর) যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশিদ জানিয়েছিলেন, পরীমনির ‘অবৈধ কাজের’ সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, নায়িকা পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতো, সেগুলো কাদের নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এসময় প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে হারুন-অর-রশিদ বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বনানীর বাসা থেকে আটক করা হয় পরীমনিকে। র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় তার বাসায়। এরপর থেকে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয় পরীর বিরুদ্ধে। ওইদিনই সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয় পরীমনিকে। তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পরীমনি।

জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত তিনি। নিজের চাহিদা মেটানোর জন্য নিজের ফ্ল্যাটে মিনি বার স্থাপন করেছেন। পরীর বারে বিদেশি মদ থাকত। সেগুলো সরবরাহ করত নজরুল রাজ।

শোনা যায়, পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন পরীমনি। বিশেষ লোকদের ডাকে শুটিং সেট থেকেও চলে গিয়েছিলেন এ নায়িকা। দেশের বাইরে ঘুরতে যেতেন তাদের আশীর্বাদ নিয়ে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরীকে দামি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। সবশেষ দুবাই ভ্রমণ করেছেন ওই চেয়ারম্যানের কল্যাণেই।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!