২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের জন্য স্বামীকে ছয় টুকরা

অনলাইন ডেস্ক
স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে ৪০ দিন আগে খুন স্বামী, ৬ টুকরা লাশের মিললো ৫ টুকরা

গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যক্তির দেহের অংশবিশেষ উদ্ধারের ৩৮ দিন পর হাত-পা, মাথাসহ আরো পাঁচ টুকরা উদ্ধার করে নিহতের পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম সুমন মোল্লা (২৮)। তিনি বাগেরহাটের চিতলমারী থানার গোলা বরননী বাজার এলাকার জাফর মোল্লার ছেলে। তাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় নিহত সুমনের স্ত্রী আরিফা বেগম (২৪) ও আরিফার প্রেমিক তনয় সরকারকে (৩১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জেরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানা গেছে।

রবিবার (৩০ মে) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেসবিফ্রিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান (অপরাধ ও মিডিয়া) এ সব তথ্য জানান।

গত ২১ এপ্রিল দুপুরে সারদাগঞ্জের হাজী মার্কেট পুকুরপাড় এলাকার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে মাথা ও হাত-পা বিহীন অজ্ঞাত এক যুবকের দেহের অংশবিশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দেহের টুকরো গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে কাশিমপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি নিবিড়ভাবে তদন্তে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে সন্দিগ্ধ ব্যক্তি হিসেবে শনিবার ভোরে তনয় এবং আরিফাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং নিহত ব্যক্তির নাম সুমন মোল্লা বলে জানায়। পরে তাদের দেখানো মতে সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট পুকুরপাড় এলাকার ময়লার স্তূপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত চাপাতি ও করাত এবং চক্রবর্তীর তেতুইবাড়ী এলাকার ময়লার ভাগাড় থেকে নিহতের খণ্ডিত হাত, পা, মাথাসহ দেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তনয়ের বাসা থেকে নিহতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আরিফার সঙ্গে তনয় সরকারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সুমন এ নিয়ে তনয়কে কয়েকবার মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী আরিফা ও তার প্রেমিক তনয় সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরিফা দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি সুমনকে খাওয়ায়। পরে আরিফা ফোন করে তনয়কে ডেকে এনে দুজনে মিলে বালিশচাপা দিয়ে সুমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন ২০ এপ্রিল করাত দিয়ে মরদেহ টুকরো টুকরো করে তারা। এরপর দেহের এক টুকরো কাপড়ে মুড়িয়ে সেপটিক ট্যাংকে এবং বাকি পাঁচ টুকরো পলিথিনে মুড়িয়ে তেতুইবাড়ী এলাকার ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!