ফোনালাপ ফাঁস : ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও সেই অভিভাবককে জিজ্ঞাসাবাদ
👁️নিউজ ডেস্ক ✒️
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উভয়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসময় তাদের কছে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা নেয়া হয়। আগামী ২ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার রাতে অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুপুরে আমাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে দেখি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার উপস্থিত হয়েছেন। তদন্ত কমিটির দুই জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা আমার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। আমি পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমার কাছে থাকা রেকর্ড করা অডিওটি তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিয়েছি। প্রায় দুই ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির একজন সদস্য বলেন, ফোনালাপের বিষয়ে আমরা ভিকারুনিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুকে ডেকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কাছে থাকা সব তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ড করা অডিওটি এডিট করা বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ। তার কাছে আরও কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও কিছু প্রমাণাদি চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল তা দেয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২ আগস্টের মধ্যে সব তথ্য-প্রমাণ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
অধ্যক্ষ ও অভিভাবকের ফোনালাপের ঘটনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে সভাপতি করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অপর সদস্য হলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে অধ্যক্ষ বলেছেন, তিনি কাউকে গালিগালাজ বা হুমকি দেননি। কিছু অভিভাবক তার কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে সরাতে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কারণে তার সঙ্গে একজন অভিভাবকের কথা হলেও তিনি সেটি ‘সুপার এডিট’ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।