ভারতে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সব কার্গো ফ্লাইট বাতিল করলো চীন
করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনা সুনামিতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এমন সময়ে উল্টোপথে হাঁটছে যে দেশ থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর জোড়ালো অভিযোগ উঠেছে সেই চীন। সোমবার চীনের সরকারি বিমান সংস্থা সিচুয়ান এয়ারলাইন্স আগামী ১৫ দিন চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সবধরনের কার্গো ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে করে এমন বিপর্যস্ত সময়ে ভারত আরও বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, চীনের সরকারি বিমান সংস্থা সিচুয়ান এয়ারলাইন্স আগামী ১৫ দিন ভারতে কোনও পণ্যবাহী বিমান পাঠাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই বিমানগুলোতে তরল অক্সিজেন তৈরির নানা সামগ্রী আসার কথা ছিল।
এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ভারত এবং চীন দু’পক্ষের এজেন্টরাই চীনা সরকারে এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছে। চীন মোট ৬টি রুটিরে কার্গো ফ্লাইট বাতিল করেছে। এর মধ্যে জিয়ান-দিল্লি রুটও রয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ দিন পর আবার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে। বিদেশ ফেরতদের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে সাহায্য করছে সেখানে চীনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে ভারতের সংশ্লিষ্ট সব মহল হতবাক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার চূড়ান্ত সংক্রমণের সময়েও এক দেশ থেকে অন্য দেশে কার্গো বিমান যাতায়াত করেছিল। এমনকী চীনেও সাহায্য পৌঁছেছিল ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। তখন পরিস্থিতি অনেকটা নতুন ছিল। এখন প্রকোপ বেশি হলেও মোকাবিলার পথ অনেকখানি জানা। তাই চীনের এমন সিদ্ধান্তের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
সাংহাইয়ে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানি কোম্পানি সিনো গ্লোবাল লজিস্টিক্সের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ সিনহা জানান, চীন রফতানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্যের দাম হঠাৎই ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কার্গো ভাড়াও প্রায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত নিচ্ছে।
উল্লেখ্য করোনার মহামারি প্রথম ঢেউয়ে যখন গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধুঁকছিল, সেই সময়েও নিজেদের সম্পদ বাড়িয়েছিল চীন।