২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরুখ পুত্র গ্রেপ্তারের কারণ বুঝতে পেরেছেন

বিনোদন ডেস্ক।।
মাদককাণ্ডে আটক শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মাদকবিরোধী সংস্থা (এনসিবি)। তবে কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো সেটি জানিয়েছেন শাহরুখপুত্র।

রোববার (৩ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইন্ডিয়ান’ এ প্রকাশিত হয়েছে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। যেখানে আরিয়ান নিজের হাতে কলম দিয়ে লিখেছেন, আমাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। আর আমার পরিবারের সদস্যদের ফোন করে আমি সে কথাই জানিয়েছি। এর নিচে আরিয়ানের সই।

শাহরুখের ছেলেকে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে।

শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের কর্ডেলিয়া নামে একটি প্রমোদতরীতে এক পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন আরিয়ান। সেখান থেকে তাকে আটক করে মাদকবিরোধী সংস্থা এনসিবি।

এদিন রাত থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরিয়ানকে। ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আরিয়ান।

আরিয়ান অনুশোচনা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মাদক সেবন করে তিনি ভুল করেছেন। এর আগে কখনো এমন কিছু করেননি তিনি। ইতোমধ্যেই ছেলের জন্য বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন শাহরুখ। সতীশের প্রতিনিধিরা এনসিবির দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছেন।

এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে শাহরুখপুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, যোগাযোগ রাখতেন— এসব কিছুই এখন আতশকাচের নিচে।

কোনো মাদকচক্রের সঙ্গে তিনি যুক্ত কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। বন্ধুদের বিভিন্ন গ্রুপে কী ধরনের আলোচনা করতেন তিনি, তা-ও এখন নজরে তদন্তকারীদের। বেশ কয়েক ঘণ্টা জেরার মধ্যেই আরিয়ান স্বীকার করে নেন, তিনি মাদক নিয়েছেন।

এনসিবির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, শনিবার রাতে মুম্বাই থেকে গোয়ার উদ্দেশে একটি বিলাসবহুল ক্রুজ যাত্রা করে। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই ক্রুজে যাত্রা করেন তারাও। ক্রুজ মুম্বাই থেকে ছাড়ার কিছুক্ষণের মাঝেই শুরু হয় পার্টি।

এনসিবির কাছে খবর ছিল, মাঝ সমুদ্রে কর্ডেলিয়াতে পার্টি হবে এবং সেখানে মাদক সেবন করা হবে। পার্টির মাঝপথে অনেকেই যখন মাদক সেবনে টালমাটাল অবস্থা ঠিক সেই অবস্থাতেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন এনসিবির সদস্যরা।

বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর টাকার নিষিদ্ধ মাদক। তার মধ্যে কোকেন, হাশিশ, এমডিএমএর মতো মাদকও রয়েছে। অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করেন এনসিবির সদস্যরা।

আটক হওয়া সেই ১০ জনের মধ্যেই ছিলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। শুধু বলিউড নয়, ফ্যাশন জগতের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

গত বছর ভারতীয় সুপারস্টার সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে তারকামহলে মাদক সেবনের কাহিনী। বাদ ছিলেন না সুশান্তও। এরপরেই মাদককাণ্ডে উঠে আসতে থাকে একের পর এক নাম।

জেরার মুখে পড়তে হয় দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুলপ্রীতসহ আরো খ্যাতিমান তারকাদের। সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে এনসিবি যথেষ্ট তৎপর তাদের কাজের প্রতি।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!