১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর কাশি কমানোর ৫ উপায়

গরমের এ সময় শিশুরা সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে ভুগে থাকে! সর্দি-কাশি একবার শুরু হলে সহজে সারতে চায় না। তার উপর গরমে ফ্যানের বাতাস বা এসিতে থাকার কারণে শিশুর সর্দি-কাশিতে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

সর্দির সমস্যা ওষুধ খাওয়ার পর সেরে গেলেও খুশখুশে কাশি সহজে কমতে চায় না। এজন্য শিশুরা বেশ ভুগে থাকে ও কষ্ট পায়। ক্রমাগত কাশি হওয়ার বিষয়টিও খুবই চিন্তার। এর ফলে গলায় সমস্যা হতে পারে, অতিরিক্ত কাশির হলে বাচ্চার রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

শুধু ঠান্ডা লাগলেই শিশুর কাশির সমস্যা হয় না। আরও বেশ কয়েকটি কারণে শিশুর কাশি হতে পারে। যেমন- অ্যাসিড রিফ্লাক্সের একটি লক্ষণ হলো কাশি। কাশি চলাকালীন শ্বাসের সমস্যা, বিশেষত রাতে কাশির অবস্থার অবনতি হওয়া হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ। এ ছাড়াও সাইনাস বা অ্যালার্জির কারণেও কাশি হতে পারে।

যদিও কাশির সারানোর জন্য অনেক ওষুধই আছে; তারপরও ঘরোয়া উপায়ে শিশুর কাশি সারানোর উপায়গুলো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন। জেনে নিন শিশুর কাশি হলে কী করবেন-

>> শিশুর কাশি সারানোর ঘরোয়া উপায় হলো গরম পানিতে গার্গল করানো। এতে কাশি ও গলা ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। এক গ্লাস গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে ৩ বার গার্গল করা খুব উপকারি।

>> সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার এক দুর্দান্ত উপাদান হলো আদা। শিশুকে এক টুকরো আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

>> কাশির সমস্যা হলে শিশুকে বারবার গরম স্যুপ খাওয়ান। এতে শিশুর কাশি এবং গলা ব্যথা দু’টোই কমবে।

>> মিছরি খাওয়াতে পারেন শিশুকে। মিছরি গলার আর্দ্রতা বজায় রাখে; ফলে গলার খুশখুশেভাব কমে।

>> মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। গরম পানিতে এক চামচ মধু ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেবেন না।

>> শিশুর কাশি সারাতে আপনি হলুদ দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে কাশি থেকে স্বস্তি মিলবে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

আরো দেখুন
error: Content is protected !!