সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে মৃত্যু ৫৯
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় হাজার ৪৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৬৪ জন।
এদিকে একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যার হিসাবেও এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী ২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১০৫ জন।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩১ মার্চ) একদিনে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৩৫৮ জন শনাক্ত হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেল। আর গত বছরের ৩০ জুনে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় দেশের ২২৪টি সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে ২৮ হাজার ১৯১টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৮ হাজার ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ছয় হাজার ৪৬৯ জনের। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে গত বছরের ৮ মার্চের পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এদিকে একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৩৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ। এনিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৯৩৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫৯ জনের মধ্যে বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩ জন এবং ষাটোর্র্ধ্ব ৩০ জন।
বিভাগীয় হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহীর দুইজন, খুলনার চারজন, বরিশালের একজন, সিলেটের পাঁচজন এবং রংপুর বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে দেশে টানা চারদিন পাঁচ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৯ মার্চ) পাঁচ হাজার ১৮১ জন, মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) পাঁচ হাজার ৪২ জন এবং বুধবার (৩১ মার্চ) পাঁচ হাজার ৩৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।
দেশে গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়।