৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবিনা সিদ্দিকী শিবা’র মতামতে -“হায়রে টিকটক”

হায়রে টিকটক?

সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকটক নিয়ে একের পর বার্তা আমাদের দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হচ্ছে। অল্প বয়সে ছোট ছোট ছেলেরা বিনোদনের নামে যে সব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এতে করে সমাজের অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রযুক্তি অপব্যবহার বাড়ছে। এ সব অপব্যবহারের ফলে যুবসমাজের আজ ধ্বসের দিকে চলে যাচ্ছে। পরিবার হয়ে পড়ছে নিরাপত্তাহীন। কিছু কিছু কিশোর গ্যাংয়েরা এই টিকটক ভিডিও করার জন্য ব্যবহার করছে মেয়েদের, আর উঠতি বয়সের মেয়েরা সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য টিকটকের পরিচালকদের হাতের পুতুলের পরিনত হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের কাছে এই টিকটক অ্যাপটি দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমরা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করলে দেখতে পারি এই টিকটক নামে আমাদের সমাজে অনেক ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে।

এ-সব অসামাজিক কার্যকলাপে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ এবং ধ্বংস হচ্ছে নৈতিকতা। তাছাড়া এই টিকটকের কারনে একের পর এক দুর্ঘটনায় পরছে কিশোর সমাজ। এসব অ্যাপ এর মাধ্যমে উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরীরা নিজেদের নায়ক নায়িকা ভাবতে শুরু করে, ফলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।

আসলে এই অ্যাপটি ব্যবহারে কোন বিধিনিষেধ না থাকার কারনে যত অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার অশ্লীল পোশাক পড়ে নাচ গানের ভিডিও করে আপলোড করে। যা সবাই দেখে লজ্জাজনক ব্যাপার। এসব টিকটকের মাধ্যমে বেড়ে চলছে কিশোর অপরাধ। এগুলো দেখার মধ্যে নেই কোন শিক্ষনীয় বার্তা। বিশ্বব্যাপী এই জনপ্রিয় অ্যাপটির অপব্যবহার এর কারনে অনেক দেশ ব্যবহারের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে, ঘটছে ধর্ষণের মতো অপরাধ। আমার মতে অচিরে এই অ্যাপটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা দরকার।

আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেও সুদৃষ্টি রাখতে হবে। না হয় কিশোর সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে,,,

কবি ও ঔপন্যাসিক
সাবিনা সিদ্দিকী শিবা

আরো দেখুন
error: Content is protected !!