৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪৮ ঘণ্টার হরতাল, উত্তপ্ত কোম্পানীগঞ্জ

নিউজ ডেস্ক
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা চালিয়েছে বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারীরা। এর প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু আজ শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামীকাল রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ঘোষণা করেন। এ সময় লাইভে তার সঙ্গে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান এবং সেতুমন্ত্রীর আরেক ভাগনে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত।

এ সময় মঞ্জু অভিযোগ করেন যে, সেখানকার রাজনীতে ডুয়েল রোল প্লে করছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া কাদের মির্জা ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারও দাবি করেন তিনি।জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে বসুরহাট হয়ে রওনা দেন। এ সময় বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব এলাকা তথা কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে বাজার পরিদর্শন করে আসার পথে বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হন কাদের মির্জা ও তার অনুসারীরা।

এ সময় কাদের মির্জার সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ জন অনুসারী ছিল। এর মধ্যে কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, সজল, আরিফ, খান, শিহাব, ওয়াসিমসহ অন্যরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়।ফেসবুক লাইভে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, প্রথমে হামলাকারীরা বাদলের গাড়ির পেছনে গুলি করে। এক পর্যায়ে গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এতে হাত ও মাথা ফেটে যায়। পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর জখম হয়।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. জোবায়ের জানান, বুক, হাত, পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বাদল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে একাধিকবার কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে, মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার পর পরই এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছেন তার অনুসারীরা। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কাদের মির্জার বিচার দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পাশাপাশি কাদের মির্জার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে স্লোগান দেন।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!