২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁচা মরিচ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কমে এসেছে।

বাজারে কাঁচা মরিচের দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই কাঁচা মরিচের দরপতন হওয়ায় কাঁচা মরিচ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কমে এসেছে।

এর মধ্যে ৮ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিনে ভারত থেকে ১ হাজার ১০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। অথচ এ সময়ে আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ৩২ হাজার ৯১০ টনের।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচের খুচরা দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আর পাইকারিতে দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি ট্রাক থেকে ২৭০ টাকা দরে প্রতি পাল্লা (এক পাল্লায় পাঁচ কেজি) কাঁচা মরিচ কেনেন। তাতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়েছে ৫৪ টাকা।

স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি একদমই বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচের চালানের শুল্কায়ন হয়নি।

৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ২৫৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। বেনাপোল ছাড়া দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ১৪ আগস্টের মধ্যেই এক হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। এরপর থেকে আর তেমন কোনো বড় চালান আসেনি।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মিম এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ৪২ টাকা। এর সঙ্গে প্রতি কেজিতে শুল্ক যোগ হয় ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। এ ছাড়া বন্দর চার্জসহ অন্যান্য খরচ আরও দুই টাকা।

তাতে আমদানি করা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে ৭০ টাকা। অথচ বাজারে তার চেয়ে কম দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। তাই অনুমতি নিয়েও এখন পর্যন্ত কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়নি।

তবে কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকার নিচে নেমে আসায় ভোক্তা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ক্রেতারা সন্তুষ্ট বলে জানা যায়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!