১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন-নীতি কী হবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ ১ যুগ পর নেতানিয়াহুর শাসনামলের অবসান হলো। ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নাফতালি বেনেট। কে এই বেনেট? তার ক্ষমতা গ্রহণে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসী নীতির কোনো পরিবর্তন হবে কী? এমন প্রশ্ন ভাসছে সচেতন মানুষের মনে।

অনেকে আশাবাদী হয়ে উঠছেন, ক্ষমতা পরিবর্তন হলে হয়তো ফিলিস্তিনিরা আর কোনো নির্যাতনের শিকার হবে না। কিন্তু বেনেটের অতীত ইতিহাস বলছে একেবারেই ভিন্ন কথা। নেতানিয়াহুকে যদি আগ্রাসী বলা যায়, তাহলে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেট আরও কয়েকগুণ বেশি আগ্রাসী। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণাই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

বছরের পর বছর দখল করার পর ফিলিস্তিনের জন্য এখনও যেটুকু ভূখণ্ড বাকি আছে, বেনেটের দাবি- সেটুকুও ইসরায়েলকে দিয়ে দিতে হবে। একাধিক ভাষণে তিনি ফিলিস্তিন সংকটকে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের ‘পশ্চাৎদেশের ওপর বিষফোঁড়া’ হিসেবে!৪৯ বছর বয়সী বেনেট একসময় নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় কাজ করেছেন। মতের অমিল হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে ছিলেন সেনাবাহিনীতে। এরপর ব্যবসার ক্ষেত্রেও সফলতা পেয়েছেন। এগুলো তাকে রাজনীতির মাঠে সফলতা এনে দিয়েছে।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট-এর মোট আসন ১২০টি। সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল বা জোটকে সরকার গঠন করতে হলে ৬১টি আসনের প্রয়োজন। এতগুলো আসন না পাওয়ায় এর আগে কয়েকবার নির্বাচন হলেও সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এবারও তাই হয়েছে। এরপর সমাধান এসেছে নেতানিয়াহু-বিরোধী ৮ দলের জোট গঠনের মধ্য দিয়ে।

তবে জোট গঠন হলেও কতদিন তা টিকে থাকে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। কারণ এর আগে একাধিকবার জোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হলেও সেই জোট ভেঙে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এর ফলে গত ২ বছরে ৪টি নির্বাচন হয়েছে ইসরায়েলে।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!