কুমিল্লা নগরীতে কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
✒️ মহানগর ডেস্ক
করোনা মহামারীতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুমিল্লা নগরীতে ই হক কোচিং সেন্টার চালু রাখায় প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুন) সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জিয়াউর রহমান সুজনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার জন্য মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া একই সময় নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে দোকান খোলা রেখে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন করায় এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
নগরীর কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা মহামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও করোনার শুরু থেকে এই কোচিং সেন্টারে নিয়মিত কোচিং করে যাচ্ছেন।
শনিবার সকালে নগরীর বাদুরতলা এলাকায় অবস্থিত ই-হক নামের এ কোচিং সেন্টার ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত করে পরীক্ষা নেওয়ার সময় অভিযান চালান জেলা এক্সিকিউটিভ জিয়াউর রহমান সুজন ।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কেন কোচিং করছেন জানতে চাইলে তাদের একজন বলেন,“ আনোয়ার স্যার আমাদের কোচিংয়ে আসতে উৎসাহিত করেছেন, পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় করোনার মধ্যেও আসতে বাধ্য হয়েছি।” সরকারের নির্দেশ অমান্য করে কোচিং খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলায় এই কোচিংয়ের নিন্দা জানান জেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
জেলা প্রশাসনের অভিযান চলাকালে উপস্থিত থাকা এক সাংবাদিক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে দেওয়া ভিডিওসহ এক ষ্ট্যটাসে জানান, “কুমিল্লা নগরীর ই হক কোচিং সেন্টারের পর্দার আড়ালে ছোট খাট বিছানো গোপন কক্ষ রয়েছে। এখানে অনেক স্কুলের মেয়েরা পড়তে আসে। তাই বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে এরকম গোপন কক্ষ থাকাটা কতটা শোভনীয়? ”
জেলা এক্সিকিউটিভ জিয়াউর রহমান সুজন বলেন, নগরীর বাদুরতলা একালায় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে ই-হক কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, এসরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।