কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকঘরের বেহাল দশা
নিউজ ডেস্ক।।
দেওয়ালের রঙ নষ্ট হয়ে শেওলা ধরেছে, বসার মতো নেই কোনো পরিবেশ, দেয়াল গুলোতে পানি পড়ে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন নানা সমস্যা এবং অবহেলায় পড়ে আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রতিষ্ঠাকালীন ডাক পোস্ট। তারপরেও এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের।
দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো ধরনের সংস্কার না হওয়ায় প্রতিষ্ঠাকালীন ডাক পোস্টের অবকাঠামোগত পরিবেশের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সেদিকে যেন কোনো খেয়ালই নেই।
ডাক পোস্টের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কোনো ধরনের বরাদ্দ। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন পোস্ট মাস্টারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলার ছোট একটি রুমে পরিচালিত হয় ডাক পোস্টের যাবতীয় কার্যক্রম। ছোট এই রুমে কাজ করতে হয় পোস্টমাস্টার সহ আরও দুইজনকে৷ কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় রুমটি ছোট হওয়ায় তিনজন ঠিকমতো বসে কাজ করে পারে না।
এমনকি আসবাবপত্র রাখার মতোও তেমন জায়গা নাই৷ ফলে কাজ করতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মীদের।
তাছাড়া ভালো মানের কোনো আসবাবপত্র ও ডিজিটাল ওজন মাপকাঠি না থাকার ফলে কাজে ব্যাঘাত ও ওজনের সমস্যাও হয়।
পোস্টমাস্টার মো. শাহ আলম সরকার বলেন, ‘আমরা এই ছোট রুমে তিনজন কাজ করি। আমরা একসাথে তিনজন বসে কাজ করতে পারিনা। তাছাড়া মালামাল রাখার জন্য কোনো অতিরিক্ত জায়গা নাই।
পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এখানে আসলে বসার কোনো জায়গা দিতে পারি না। তাছাড়া দেয়াল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং দুর্গন্ধ নিয়ে এই রুমে কাজ করতে আমাদের অসুবিধা হয়।’
পোস্টমাস্টার আরও বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় বেতনভুক্ত কিন্ত আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে করতে হয়। যেমন ক্যাডেট কলেজের ডাক পোস্টের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজগুলো কলেজ কর্তৃপক্ষ করে থাকেন। কিন্তু আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রশাসন বরাদ্দ পর্যন্ত দেয়নি।’
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বি) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ডাক পোস্টের অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়টি পোস্টমাস্টার আমাকে জানিয়েছে। আমি প্রকৌশলী দপ্তরকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৌশলী দপ্তরের মাধ্যমে তাদের দেয়ালের রং করা হবে। তবে অবকাঠামো কাজগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে করতে হবে।