২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মর্জিনা আক্তার শাকি (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চৌদ্দগ্রামের ধোরখাড় এলাকার ফুল গ্রাম ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত গৃহবধু মর্জিনা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাসী আল মামুন ভূইয়ার স্ত্রী।

খবর পেয়ে নিহত গৃহবধুর স্বজনরা স্বামীর বাড়িতে লাশ আনতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। শনিবার রাত ১০ টায় নিহতের চাচাতো ভাই মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে নিহতের মা হাছিনা আক্তার বাদি হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের স্বজনরা।

নিহতের বোন তাসলিমা আক্তার ও আঞ্জুয়ারা বেগম জানান, ২০২০ সালের ৪ মার্চ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফুলগ্রাম ভূইয়া বাড়ির আবুল কালামের পুত্র প্রবাসী আল মামুন ভূঁইয়ার সাথে সদর দক্ষিন উপজেলার সোয়াগাজী এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত জুনাব আলীর কন্যা মর্জিনা আক্তার শাখী (৩৫) এর পারিবারিকভাবে টেলিফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে আল মামুন ভূইয়া এখনো দেশে আসেননি। বিয়ের পর থেকে মর্জিনা স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। সম্প্রতি শশুর-শাশুড়ী সহ শশুরবাড়ির লোকজন মর্জিনাকে বাসুরের ব্যাবসার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। বিয়ের এক বছর অতিক্রান্ত হলেও স্বামীর দেখা মিলেনি। উল্টো যৌতুক নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে স্বামী বিদেশ থেকে আসলে পয়সালা করবে বলে মর্জিনার পরিবারের লোকজন জানান।

নিহতের বোন তানজিনা আক্তার জানান, শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মর্জিনা মোবাইল ফোনে কল করে জানায় যৌতুকের জন্য শাশুড়ি তাকে গালমন্দ করছে। দুপুরের পর থেকে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে জানানো হয় মর্জিনা মারা গেছে। কিভাবে মারা গেছে শশুরবাড়ির লোকজন জানায়নি। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নিহতের স্বজনরা মর্জিনার শশুর বাড়ি কান্নাকাটি সুরগোল শুরু করলে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাদের উপর হামলা করে। পুলিশ এসে তাদের উদ্বার করে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানান, বেলা পৌনে ২ টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে নিহতে লাশ উদ্বার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো প্রস্তুতি চলছে। শশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন গৃহবধু অভিমান করে ঘরের ফ্যানের সাথে উড়না ও গামছা পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ পায়নি। ফ্যানের সাথে গামচা ও উড়না ঝুলানো ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া নিহতের স্বজনদের উপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনারবশত: হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনা হয়নি।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!