বুড়িচংয়ে নতুন জাতের ধান-“রংধনু” কৃষকের পছন্দ
গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির।
“কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পারে”
বোরো ধানের মাঠ থেকে ব্রি ধান ৪৮ কে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো জাত সমূহ কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করতে উচ্চ ফলনশীল সাতটি বোরো ধানের জাত। জাত গুলো হচ্ছে ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৮৬, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ৯৬, বিনাধান-২৪ ও বঙ্গবন্ধু ধান ১০০।
বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর বাজার থেকে বুড়িচং মুখী রাস্তার দুই পাশের পীরযাত্রাপুর ও সাদকপুর মাঠের প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকের পছন্দসই নতুন জাত সম্প্রসারণ করতে এই অভিনব কার্যক্রমটি হাতে নিয়েছে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস।
কার্যক্রমটির মূল পরিকল্পনাকারী কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, আউশ মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি ধান৪৮ এর সর্বোচ্চ ফলন হেক্টর প্রতি ৫.৫ টন যেটি বোরো মৌসুমে মাঠ দুটির সিংহভাগ জমিতে চাষ হয়।
এর বিপরীতে একই জীবনকালের নতুন সাতটি জাতের প্রত্যেকটির ফলন হেক্টর প্রতি ৬.৫ টন বা তার অধিক।
পুরো জমিতে নতুন জাত করানো গেলে মাঠ দুটি থেকে দেশ প্রতি বছর অন্তত ৩৫০ টন ধান বেশি পাবে। নতুন জাতগুলো সম্পর্কে কৃষকদের মাঝে আস্থা তৈরি করতে ও দ্রুততম সময়ে জাতগুলো ছড়িয়ে দিতে কার্যক্রমটি গ্রহণ করা হয়।
কৃষক জয়নাল আবেদিন, সাম মিয়া, রফিকুল ইসলাম সহ স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জীবনকাল কম ও ফলন ভালো হওয়ায় নতুন সবগুলো জাতই তাদের পছন্দ হয়েছে।
তবে অধিকাংশ কৃষকের কাছে ভালো লেগেছে ব্রি ধান ৯৬। তারপর যথাক্রমে ব্রি ধান ৮১, ব্রি ধান ৭৪ ও ব্রি ধান ৮৮। ব্রি ধান ৯৬ চাষ করে খুশি কৃষক ওদুদ মিয়া বলেন, মৌসুমের শুরুতে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা গ্রামের কৃষকদের সাথে বসে পরিকল্পনা সভা করেন।
তারাই নতুন ধানের বীজ ও সার ব্যবস্থা করে দেন। শুরু থেকে উপসহকারি কৃষি অফিসার সাহিনা আক্তার পরামর্শ দিয়েছেন। ভালো ফলন দেখে সবাই এখন আমার কাছে বীজ চাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার জানান, পীরযাত্রাপুর ছাড়াও শংকুচাইল, রামপুর ও বুড়িচং গ্রামের আমাদের একই ধরণের কার্যক্রম চলছে। কৃষকদেরকে ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ৪৮ এর পরিবর্তে ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৮ও ব্রি ধান ৯৬ এবং ব্রি ধান ২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান ৮৯ ও ব্রি ধান ৯২ চাষের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।