২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউন্সিলর সোহেল হত্যা: ৪নং আসামি সুমন গ্রেপ্তার

মহানগর নিউজ।।
কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার।

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার বলেন, ‘সুমন বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। সুমন বর্তমানে এই হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন।’ কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ দুজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সুজানগর এলাকায় কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন গ্রেপ্তার মো. সুমনের বাড়ি কাউন্সিলরের এলাকায়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করা হয়। মামলায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে।

নিজ কার্যালয়ে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল সুজানগরে তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন।

এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন হরিপদ সাহা, পাথুরীয়াপাড়ার মো. রিজু ও মো. জুয়েল এবং সুজানগর এলাকার সোহেল চৌধুরী ও মাজেদুল।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে চলে যায়।

১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া জানান, নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায়।

কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।’

হামলাকারীরা নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা বলে জানান স্থানীয়রা।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!