২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিতার স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিনি এ পুরস্কার দিয়েছেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন মরণোত্তর এ পুরস্কার পান। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য যাদের এ পুরস্কার দেওয়া হলো তারা হলেন- শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, এ কে এম ফজলুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদ, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

অন্যরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজ সেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।

গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয়নেতা ভাওয়াল বীর জাতীয় শ্রমিকনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পক্ষে তার ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

পুরস্কার গ্রহণকালে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠান শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পিতা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার আমৃত্যু দেশ ও জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজের জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি, তাকে হত্যা করা হতে পারে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, বিএনপি-জামায়াত দোসররা তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ বাড়ির সামনেই নির্মমভাবে হত্যা করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি আজ স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন কিন্তু আফসোস তিনি এ খবরটি পর্যন্ত জানতে পারলেন না।’

জাহিদ আহসান রাসেল আরও বলেন, ‘আদর্শের কখনও মৃত্যু হয় না। তিনি বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন মানুষের অন্তরে।’

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, পাঁচ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!