[gtranslate]
২৮শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুকুরে নয়, মাজারের পাশের বাড়ি থেকে হনুমানের সেই গদা উদ্ধার

মহানগরনিউজ ডেস্ক।।
রোববার রাত ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটি দল কুমিল্লা দারোগাবাড়ী মাজারের পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতর থেকে গদাটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, মণ্ডপের হনুমানের হাত থেকে গদাটি আনার পর কুমিল্লার ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল সেটি দারোগাবাড়ী মাজারের পুকুরে ফেলে দেন।

গদা উদ্ধারের পর ইকবালের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর জানান, সেদিন রাতে গদাটি হনুমানের হাত থেকে নিয়ে ইকবাল দারোগাবাড়ী মাজারের কাছে আসে।

তারপর সেটি মাজারের পুকুরে ফেলে দেয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত গদাটি পানিতে না ডুবলে সেটি তুলে এনে পাশের চৌধুরী ভিলার প্রাচীরের ভেতরে ছুড়ে ফেলেন ইকবাল।

ইকবালকে নিয়ে অভিযানে রোববার রাতে ওই বাড়ির প্রাচীরের ভেতর থেকেই গদাটি উদ্ধার করা হয়।

গদা উদ্ধারে ইকবালকে নিয়ে অভিযানে যায় পুলিশ পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের গদাটি রঙিন কাগজ ও রশি দিয়ে মোড়ানো ছিল। পুকুরে নিক্ষেপ করায় রঙিন কাগজ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।

উদ্ধার অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়ুয়া, কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিমসহ কর্মকর্তারা।

দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।

ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।পূজার আয়োজক, এলাকাবাসী, তদন্তকারী কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার আগের রাত আড়াইটা পর্যন্ত মন্দিরে পূজাসংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ছিল। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজন নারীভক্ত মণ্ডপে এসে হনুমানের মূর্তিতে প্রথম কোরআন শরিফটি দেখতে পান।

পরে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি কোরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে পরে বেরিয়ে আসে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা যুবকের নাম ইকবাল হোসেন। ৩০ বছর বয়সী ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। নূর আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

আরো দেখুন
error: Content is protected !!